প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনের দুনিয়ায় তিনি এখন দারুণ চেনা মুখ। হিজাব পরেই লাস্যময়ী ভঙ্গিতে শরীরী আবেদনের ঢেউ যখন তিনি তোলেন, তখন সেই হিল্লোলে ভেসে যান বহুজনই। মুসলিম তরুণী হয়েও নীলছবির দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছেন তিনি। সেই আলিয়া ইয়াসিন বলছেন বাড়িতে কঠোর শাসন না থাকলে বোধহয় এ রাস্তাতে তিনি পা-ই রাখতেন না! ব্যাপারটা ঠিক কী! আসুন শুনে নেওয়া যাক কী বলছেন আলিয়া ইয়াসিন।
এ যেন বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! বাড়িতে কঠোর শাসন, চারিদিকে নিয়মের ছড়াছড়ি। অথচ সেই নিয়মের চাপ থেকে বেরোতেই সোজা পর্নদুনিয়ায় পা রাখা। একজন মুসলিম তরুণীর পক্ষে কাজটা মোটেও সহজ নয়। তবে তা শুধু করেই দেখাননি, বরং লাস্যে আর শরীরী আবেদনে রীতিমতো তাক লাগাচ্ছেন আলিয়া ইয়াসিন।
আরও শুনুন: হু হু করে বিকোচ্ছে কন্ডোম! স্রেফ সঙ্গমের নেশা নাকি নেপথ্যে অন্য কারণে?
বছর ছাব্বিশের তরুণী আলিয়া। এখনও হিজাব পরে থাকেন। তবে সেই হিজাব তাঁর শরীরের ঢেউ লুকিয়ে রাখতে পারে না। নেটদুনিয়ায় তাঁর এলোমেলো পোশাক থেকে উপচে পড়া যৌবনে মন হারিয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। ইউকে-তে মুসলিম পর্নস্টারদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা এই মুহূর্তে তুঙ্গে। পর্নদুনিয়া ছেড়েছেন মিয়া খালিফা। তাঁর পরে এই দুনিয়ায় মুসলিম তারকা হিসাবে আলিয়ার খোঁজ পড়ে সবথেকে বেশি। নগ্নতার আভাস জাগিয়েই পুরুষমনে কামনার আগুন জ্বালাতে পারেন আলিয়া। গা ভর্তি অলংকার আর হিজাব পরেও স্তনসন্ধির অমোঘ চুম্বকে তিনি রাখতে টেনে পারতে পারেন তাঁর অনুগামীদের। আর তাই যেন তাঁর নগ্নতার সামনে নতজানু ফিলহালের পর্নবিশ্ব। মিয়ার পরে আলিয়া ইয়াসিন যে এই মুহূর্তে পর্নদুনিয়ায় সেনসেশন তা বলাই যায়।
আরও শুনুন: যৌনতার থেকেও বেশি তৃপ্তি! ঘণ্টা চারেক এই কাজেই মেতে উঠছেন যুবক-যুবতীরা
অবশ্য এই পথে তাঁর চলে আসাটাই বেশ অদ্ভুত ভাবে। ইসলামি পরিবারে বড় হওয়ার দরুন পদে পদে নিষেধের ডোরেই বাঁধা ছিল আলিয়ার জীবন। সামাজিক মেলামেশায় ছিল হাজারও নিষেধাজ্ঞা। খুব বেশি বেরোতেও পারতেন না। ইচ্ছেখুশি কারও সঙ্গে মিশতেও পারতেন না। যৌবনে পা রেখে তাই যখন উন্মনা আলিয়া, তখন বন্ধ ঘরে নানা ধরনের অনলাইন গেমের মধ্যেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। কিন্তু তাতে নয় সময় কাটে! নিজের যৌনতার প্রকাশ কীভাবে সম্ভব! পথ খুঁজতে থাকেন আলিয়া। আর এই অনলাইনের নেশাই একদিন তাঁকে দেখিয়ে দেয় পর্নদুনিয়ার দরজা। আলিয়া যেন খুঁজে পান তাঁর যৌনতা, তাঁর শরীরী আবেদন প্রকাশের মাধ্যম। অনলাইনে অনেকের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে উঠতেন আলিয়া। আর মাঝেমধ্যে তাঁদের দেখিয়ে দিতেন নিজের নগ্নতা। আলিয়ার শরীরী উদ্ভাসে সেইসব পুরুষরা হয়ে উঠতেন নেশাতুর। আর তা দেখেই আলিয়া যেন বুঝে গিয়েছিলেন, তাঁর ভবিষ্যতের রাস্তা কোনটি। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। নেটদুনিয়ার হাতছানিতে বহু দূর এগিয়ে যান আলিয়া। বিশেষ ওয়েবসাইটে তাঁর শরীরী নগ্নতা ঝড় তোলে। কোটি কোটি অনুগামী তাঁর খোঁজ করতে শুরু করেন। আলিয়া ক্রমশ জড়িয়ে পড়েন এই দুনিয়ার সঙ্গে। কিন্তু নিজের সত্তার পরিচিতি হিসাবে হিজাবটিকে সঙ্গে রেখেই দেন। হিজাব আর অমোঘ লাস্য- এই দুইয়ে মিলে আলাদা একটা পরিচিতি তৈরি হয় আলিয়ার। যা এই মুহূর্তে একটা ব্র্যান্ডই বলা যায়, আর বড়দের বিনোদনের দুনিয়ায় সে ব্র্যান্ডের চাহিদা তুঙ্গে। অথচ, প্রথম যখন এ খবর জানতে পারে তাঁর পরিবার তখন ঘোর আপত্তিই তুলেছিল। তবে আলিয়া বলছেন, এককালে বাড়ির ওই কঠোর অনুশাসন না থাকলে আজ হয়তো লাস্যের দুনিয়ায় তাঁর এরকম খ্যাতি হত না, কেননা তিনি এপথে পা রেখতেন কিনা সন্দেহ।
আরও শুনুন: পর্ন ছবিতে মাততে হয় উদ্দাম যৌনতায়, সহকর্মীদের সঙ্গে কী চুক্তি করে নেন অভিনেত্রী?
ইসলাম মতে হওয়া নানা উৎসব পালন করলেও আলিয়া এই মুহূর্তে আর সেভাবে ইসলাম প্র্যাকটিস করেন না। ইসলাম ধর্মাবলম্বী পরিবারে বড় হয়য়েও পর্ন দুনিয়ায় পা রাখার জন্য তাঁকে কটু কথাও শুনতে হয় বেজায়। এমনকী মাঝেমধ্যে মারাত্মক সব হুমকিও পেয়েছেন। ঠিক যেমনটি পেতেন মিয়া খালিফা। আর তাই আলিয়ার স্বপ্ন, পর্নদুনিয়ায় তিনি যখন এসেই পড়েছেন তখন একদিন ঠিক মিয়া খালিফার মতোই তারকা হয়ে উঠবেন। এই মুহূর্তে পর্নবিশ্বে তিনি যেভাবে হইচই ফেলেছেন, তাঁর উন্মুক্ত শরীরী বাঁকে কোটি কোটি ফলোয়ার্স যেভাবে পথ হারাচ্ছেন, তাতে মিয়া খালিফার থেকেও বড় তারকা তিনি হয়ে উঠলে, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।