অন্ধকার, স্যাঁতসেতে ঘরে কৃত্রিম দেওয়ালের আড়ালে দিনের পর দিন আটকে রাখা হত শিশুদের। শুনেই আঁতকে উঠছেন তো? ব্যস্ত মা-বাবারা যেখানে সারা দিনের জন্য শিশুদের রেখে দিয়ে যান, সেরকমই এক ডে-কেয়ারে এরকম হেনস্তার শিকার হচ্ছিল অসহায় শিশুরা।
ফুটফুটে ফুলের মতো শিশুরা। মা-বাবারা কর্মব্যস্ত হওয়ার দরুণ, দিনের বেশিরভাগ সময় তাদের ঠিকানা ডে-কেয়ার। আর সেখানেই দারুণ হেনস্তার মুখে পড়তে হল অসহায় শিশুদের। এমনিতে গোছানো ডে-কেয়ার। সুন্দর সাজানো, ছিমছাম। লাইসেন্সও আছে। বেশিরভাগ সময় সেখানে দেখা যায়, একরত্তি ছটি বাচ্চা নিজেদের মতো হাসছে খেলছে। কিন্তু একটু কান পাতলেই আবার ভেসে আসে কান্নার আওয়াজও। যেন এই হাসিখুশি ডে-খেয়ারের পরিবেশে বেশ বেমানান কিছু।
আরও শুনুন: একই গাছে ফলবে বেগুন আর টম্যাটো, বিস্ময়কর আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
কিন্তু এমনটা কেন হবে? পেট্রোলিংয়ে গিয়ে, একবার পুলিশের কানেও একটি বাচ্চার কান্না আসে। যে ৬ জন বাচ্চা ডে-কেয়ারে রয়েছে, তাদের কেউ তখন কাঁদছিল না। অথচ আওয়াজ আসছে এই বাড়ি থেকেই। সেই আওয়াজের উৎস খুঁজতে খুঁজতে তখন পুলিশ আবিষ্কার করে বাড়ির একতলায় একটি সুন্দর দেওয়াল রয়েছে যার কাছ থেকেই ভেসে আসছে আওয়াজ। আরও অনুসন্ধান চালিয়ে তারা বুঝতে পারে, এটা একটা কৃত্রিম দেওয়াল। আর তারপর সেই দেওয়ালের আড়াল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে অনেক শিশুকে। সংখ্যাটা কম নয়, অন্তত ২৬। কারো ভেজা ডাইপারে অস্বস্তির কান্না, কেউ কাঁদছে ভয়ে বা শারীরিক অসুস্থতায়, কেউ খিদে-তেষ্টায়।
আরও শুনুন: লম্বা নাকে গিনেস রেকর্ড, তুরস্কের মেহমত আজিউরেক যেন জীবন্ত বিস্ময়
ঠিক যেন, কোনও সিনেমার দৃশ্য, কিন্তু ঘটনা নিখাদ সত্যি। কলোরাডোর এক ডে-কেয়ারের ঘটনা এটি। কারলা ফেইথ নামে এক মহিলা চালাতেন ডে-কেয়ারটি। পরিকাঠামো অনুযায়ী তার ডে-কেয়ারে মাত্র জনা ছয় বাচ্চাকে রাখার জন্য লাইসেন্স পেয়েছিলেন কারলা। কিন্তু ৬ জন বাচ্চার পরও যখন আরও কিছু ব্যস্ত বাবা-মা তাদের বাচ্চাদেরকে ওই ডে-কেয়ারে দিনের সময়টুকুর জন্য রেখে যেতে আসেন, তখন তাদেরও ভর্তি নিয়ে নেয় কারলা। এইভাবে ওই ডে-কেয়ারের মোট শিশুর সংখ্যা ৩০ পেরিয়ে যায়। কিন্তু সব বাচ্চাদের সবসময় বাইরে আসার সুযোগ দিত না কারলা। তার ছোট্ট ডে-কেয়ার হোমে অত বাচ্চার একসঙ্গে খেলার বা থাকার ব্যবস্থাই ছিল না যে! তার জন্যই তাকে লাইসেন্স দিয়েছিল মাত্র ৬ জন বাচ্চা রাখার।
বাকি অংশ শুনে নিন।