গল্প হলেও সত্যি। প্রথমে যাই হোক, গল্পের শেষে সব ঠিক হয়েই যায়। ৭৮-এও, কেউ হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন প্রেমিকার সামনে। আর স্কুলের বন্ধুর এমন কাণ্ডে লাজরাঙা হয়ে ওঠেন বৃদ্ধা। ঠিক কী হয়েছে? আসুন শুনে নিই।
‘এই বয়সে আর প্রেমে পড়া মানায় না’, কিংবা ‘বিয়ে করার বয়স পেরিয়ে গিয়েছে’, এই ধরনের কথাবার্তা যারা বলেন তাঁদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারেন ডঃ থমাস। কেন বলুন তো? কারণ বয়স যে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনও বাঁধা হতে পারেনা সে কথা প্রমাণ করে দিয়েছেন এই বৃদ্ধ।
আরও শুনুন: ভেজ বিরিয়ানিতে পনিরের বদলে চিকেন! শ্রাবণের বারাণসীতে খাবার অর্ডার দিয়ে বিপাকে যুবক
প্রেম আর বিয়ে করার বয়স নিয়ে একটা উদাহরণ তিনি তুলে ধরেছেন সকলের সামনে! ব্যক্তিগত জীবনে ডঃ থমাস হয়ত একজন খুবই ভাল মানুষ, ডাক্তার হিসেবেও হয়ত তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি। কিন্তু আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক সাম্প্রতিক ঘটনা, তাঁকে গোটা পৃথিবীর কাছে বিখ্যাত করে দিয়েছে। নেটমাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর প্রেম নিবেদনের ভিডিও।
ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, এয়ারপোর্টের বাইরের দিকের গেটে বৃদ্ধ ডঃ থমাস কারও জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর চোখে মুখে বেশ কৌতুহল। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর সেই অপেক্ষা শেষ হয়। সমবয়সী এক মহিলা, ন্যান্সি-কে দেখা যায়। দুজনেই দুজনকে দেখে আপ্লুত হন, জড়িয়ে ধরেন একে অপরকে। এরপর ডঃ থমাস, ন্যান্সিকে নিয়ে গিয়ে লাউঞ্জের ভেতরেই বসান। ন্যান্সির হাতে ততক্ষণে এসে গেছে এক তোড়া লাল গোলাপ। এক হাতে যত্নে ধরে রেখেন সেটা। এরপরই ন্যান্সি ও আশপাশের সকলকে চমকে দিয়ে ন্যান্সির সামনেই দুই হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন ডঃ থমাস। তারপরই কোটের পকেট থেকে একটা ভাঁজ করা কাগজ বের করে আনেন। সেখান থেকে ন্যান্সিকে উদ্দেশ্য করে পড়ে শোনাতে থাকেন, তাঁর মনের সব জমা খরচের হিসেব। আর উল্টোদিকে বসে থাকা ন্যান্সির ফরসা মুখ ৭৮-এও লাজরাঙা হয়ে উঠতে থাকে। লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন তিনি।
আরও শুনুন: স্ত্রীর জন্মদিনেই ইস্তফা চাকরিতে, ইনফোসিস কর্তার সেদিনের সিদ্ধান্তে কী প্রতিক্রিয়া সুধা মূর্তির?
ভিডিওটি নেটমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই, ডঃ থমাস ও ন্যান্সির রূপকথার গল্প মুগ্ধ করেছে সকলকেই। বেশ কিছু মজার পাশাপ্সহি দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও উঠে এসেছে সেই কমেন্টে। প্রথমত, ডঃ থমাস এক হাঁটু নয়, দুই হাঁটু মুড়েই বসে পড়েছিলেন ন্যান্সির সামনে, তার মানে তিনি সত্যিই ন্যান্সিকে চান তাঁর জীবনে। দ্বিতীয়ত, এই বয়সে উনি যে অন্যদের মতো মেয়ের বয়সী একজনকে বেছে নেননি, সেটাই বড় কথা।
ডঃ থমাস আর ন্যান্সির অবশ্য মন দেওয়া নেওয়া হয়ে গিয়েছিল, সেই হাইস্কুলে পড়ার সময়ই। তার ৬০ বছর পর, আবার এভাবে তাঁরা একসাথে থাকার সিন্ধান্ত নিলেন। বয়সের বাধা পেরিয়ে, প্রেমের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ডঃ থমাস ও তাঁর হাইস্কুলের প্রেমিকা। জীবনে যে এখনও আরও অনেকটা পথ চলা বাকী!
View this post on Instagram