বয়স ২৭ বছর। তবু দেখতে যেন ঠিক ১২ বছরের বালক। এমন অদ্ভুত অবস্থার শিকার হয়ে চাকরিও পাচ্ছেন না এক ব্যক্তি। শেষমেশ কাতর আর্তি জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন নেটদুনিয়ার। কেন এমন অবস্থা হয়েছে তাঁর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বয়সের ছাপ চেহারায় বোঝা যায় না অনেকেরই। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক কারণে এমনটা হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। এই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। তাঁর বয়স ২৭ হলেও তাঁকে দেখতে ঠিক এক ১২ বছরের বালকের মতো। আর সেই কারণেই তাঁর জীবনে নেমে এসেছে বিভীষিকা। শরীরের এমন অদ্ভুত গঠনের জন্য তাঁকে চাকরি দিতে চাইছেন না কেউ-ই।
আরও শুনুন: ডিপ্রেশনে কয়েন খাওয়া অভ্যাস, ব্যক্তির পেটে ৬৩টি কয়েন পেয়ে তাজ্জব চিকিৎসকরা
মাও শ্যেং নামে এই চিনা যুবক এখন রীতিমতো জেরবার। বারবার আবেদন করলেও কোনও জায়গায় চাকরি পাচ্ছেন না তিনি। কেউ বলছেন, তিনি বয়স নিয়ে মিথ্যে বলছেন। তাঁর আসল বয়স কখনোই ২৭ হতে পারে না। শুধুমাত্র খাটো চেহারা নয়। তাঁর মুখেও বয়সের কোনও ছাপ নেই। অনেকে আবার দাবি করেন, তাঁকে কাজে রাখলে শিশুশ্রমের আইন ভাঙা হবে। এই অদ্ভুত কারণে বেশ ফাঁপরেই পড়েছেন ওই যুবক। কিছুদিন আগেই তাঁর বাবার হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বাবার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার তাঁর কাঁধেই। আবার পরিবারে তিনি ছাড়া উপার্জন করার মতো আর কেউ নেই-ও। এখন রোজগারহীন হয়ে ভারী সমস্যায় পড়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: লিট্টি চোখা রান্না, নলকূপের জলে স্নান… ছুটি কাটাতে গ্রামে গিয়ে ‘মাটির মানুষ’ পঙ্কজ ত্রিপাঠী
তবে সম্প্রতি একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন যুবকটি। এক বন্ধুর সঙ্গে চাকরি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন শ্যেং। বরাবরের মতো তিনি প্রত্যাখ্যাত হলেও বন্ধুটি সেই চাকরি পেয়ে যায়। মনের দুঃখে একটি ভিডিও বানিয়ে ফেলেন তিনি। সেখানে কাতর আর্তি জানান একটি চাকরির জন্য। তাঁর বর্তমান অবস্থার কথা খুলে বলেন সকলকে। প্রথমে সমালোচিত হওয়ার ভয় পেলেও, পরে দেখা যায় তাঁর সেই ভিডিও অনেক মানুষ দেখে ফেলেছেন। আর তাঁদেরই মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাও। তেমনই একটি সংস্থা থেকে শেষমেশ ডাক পান যুবকটি। চাকরি পেয়ে যুবকটি জানিয়েছেন, বাবার চিকিৎসা এবার ঠিকভাবে করতে পারবেন। বয়স আর চেহারার জন্য তিনি যে ভোগান্তি সহ্য করেছেন, নেটদুনিয়ায় বাসিন্দারা বলছেন, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না।