খুনের আসামী। সাজার মেয়াদ ফুরোতে অন্তত বিশ বছর। কিন্তু এর মাঝে জেলে থেকেই পড়াশোনা শুরু করেছেন মহিলা। সেখান থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর। সিনেমা নয়, বাস্তবেই ঘটেছে এমন কাণ্ড। আর এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছেন আরও ১৪৫ জন বন্দী। যার দরুন তাঁদের সকলেরই মুক্তির ব্যবস্থা করেছে এই রাজ্যের প্রশাসন। কোথায় জানেন? আসুন শুনে নিই।
কেউ খুনের আসামী। কেউ বা চুরির দায়ে জেল খাটছেন। কিন্তু জেলে থেকেও এঁদের অনেকেই পড়াশোনা থামাননি। স্নাতক, স্নাতকোত্তর সমস্ত ডিগ্রিই এঁরা হাসিল করেছেন জেলে বসেই। তাই খুশি হয়ে এমন ১৪৫ জন বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার।
আরও শুনুন: চাঁদা তুলে প্যান্ট কিনে দেওয়া হোক অনুষ্কাকে, কোহলির পোস্টে খোঁচা নেটিজেনদের
কারেকশনাল হোম। বাংলায় বললে সংশোধনাগার। অর্থাৎ যেখানে নিজেকে সংশোধন করে ফের সমাজের মূলশ্রোতে ফিরে আসার সুযোগ পান অপরাধীরা। সেই হিসেবে এ কোনও আতঙ্কের জায়গা নয়, এমনটা বলা যেতেই পারে। তবে কিছু সিনেমা বা গল্পের দৌলতে ‘জেল’ সম্পর্কে অনেকেরই অন্যরকম এক ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, জেল মানেই পাতালপুরীর এক ভয়ঙ্কর জগত। তাই সেখানে সংস্কৃতি বা শিক্ষার আলো ফুটলে, তা অনেকের কাছেই অবাক ঠেকতে পারে। সম্প্রতি তেমনই এক কারণে শিরোনাম দখল করেছে মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জেল। স্রেফ পড়াশোনা করেই সাজার মেয়াদ কমিয়ে ফেলেছেন সেখানকার ১৪৫জন বন্দী। এঁদের মধ্যে কেউ হয়েছেন স্নাতক কেউ বা পেরিয়েছেন স্নাতকোত্তরের গণ্ডি। সে রাজ্যের মোট দশটি জেলে রয়েছে পড়াশোনার সুবিধা। নিয়ম অনুযায়ী, সাজা পাচ্ছেন এমন কেউ কিংবা অভিযুক্ত হিসেবে জেলে রয়েছেন, এমন সকলেই পড়াশোনার সুযোগ পান। এঁর মধ্যে যারা সাজা পাচ্ছেন পড়াশোনা শিখলে সেই সাজার মেয়াদ কিছুটা হলেও কমতে পারে। কিন্তু যাঁদের দোষ এখনও প্রমাণ হয়নি তাঁদের এর থেকে বিশেষ সুবিধা হয় না। পড়ার সময় জেলের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। কিছুক্ষেত্রে বাইরে থেকে শিক্ষকরা এসে পড়িয়ে যান। তবে উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি মেলে বিভিন্ন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাই সেখানে সেলফ স্টাডির সুবিধাও থাকে যথেষ্টই। যদিও পরীক্ষা দিতে হয় জেলে বসেই।
আরও শুনুন: অভিনয় নয়, সত্যিকারের হস্তমৈথুনের নির্দেশ! একঘর লোকের সামনে কী করেছিলেন অভিনেত্রী?
মহারাষ্ট্রের এই বন্দিদের সাফল্যে রীতিমতো খুশি সেখানকার জেল প্রধানরা। এই ঘটনা সে রাজ্যের অন্যান্য বন্দীদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। যা মনে করিয়ে দেয়, তুষার জলোটা-র পরিচালিত ছবি, ‘দসভি’-র কথা। সেখানেও এমন এক বন্দীর জেলে বসেই পড়াশোনা শেখার কথা দেখানো হয়েছিল। সরাসরি যোগ না থাকলেও, এই ঘটনার সঙ্গে কোথাও গিয়ে মিলে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের জেলবন্দিদের পড়াশোনা।