মাত্র একখানা বিস্কুট। তারই দাম উঠল নাকি এক লক্ষ টাকা! কিন্তু কেন? কী এমন আছে এই বিস্কুটে যে তা এমন মহামূল্য হয়ে দাঁড়াল? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সকালে বিকেলে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট। এইটুকু অভ্যাস এ দেশের অনেক মানুষেরই রয়েছে। কিন্তু যদি বলা হয়, সেই সাধারণ একটি বিস্কুটের দামই পড়তে পারে লাখখানেক টাকা, তাহলে? শুনেই চোখ কপালে তুলে ফেললেন তো? কিন্তু গল্প নয়, সত্যিই ঘটেছে এমনটাই। দাঁড়ান, তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: প্রেম বললেই প্রেম! পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই সুযোগ, হবু প্রেমিকদের পরীক্ষা নিচ্ছেন তরুণী
আসলে দোকান থেকে দুটি বিস্কুটের প্যাকেট কিনে এনেছিলেন এক ব্যক্তি। কোনও বিশেষ বিস্কুটও নয়, চলতি একটি ব্র্যান্ডই কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে এসে প্যাকেট খুলে দেখেন, একটি প্যাকেটে ১৫টি বিস্কুট রয়েছে। এদিকে বিজ্ঞাপনে স্পষ্টই বলা ছিল, ওই প্যাকেটে ১৬টি বিস্কুট থাকে। তা এমনিতে তো এমন কতই হয়। দোকান থেকে কেনা বিস্কুটের প্যাকেটে এক-আধখানা ভাঙা বিস্কুট দেখতে আমরা অভ্যস্ত। তবে এই ব্যক্তি কিন্তু এত সহজে বিষয়টি ছেড়ে দিতে রাজি ছিলেন না। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম পি দিল্লিবাবু। আর বিস্কুটের প্যাকেটটি তিনি কিনেছিলেন মানালি থেকে। প্যাকেটে একটি বিস্কুট কেন কম, তা নিয়ে সোজা ওই দোকানে গিয়ে কৈফিয়ত তলব করেন তিনি। এরপরে বিস্কুটের সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তবে কোনও জায়গা থেকেই সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি। শেষমেশ সোজা কনজিউমার কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। রীতিমতো হিসেব কষে দেখিয়ে দেন, প্যাকেটের দাম অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিস্কুটের দাম পড়ে ৭৫ পয়সা। ওই সংস্থা প্রতিদিন ৫০ লাখ প্যাকেট তৈরি করে, ফলে তারা ক্রেতাদের ঠকিয়ে রোজ ২৯ লাখ টাকা লাভ করছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও শুনুন: মরেও শান্তি নেই! এইসব দেশে কেউ মারা গেলেও দিতে হয় মোটা টাকা জরিমানা
যদিও তাঁর দাবির পালটা যুক্তি দিতে ছাড়েনি ওই বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থাও। তারা দাবি করে যে, বিস্কুটের সংখ্যা হিসেবে নয়, ওজনের হিসেবেই প্যাকেট বিক্রি হয়। কিন্তু সেই হিসেবেও প্যাকেটের ওজন ৭৬ গ্রাম হওয়ার কথা ছিল, যা এখানে ৭৪ গ্রাম বলে দেখা যায়। বিচারক সাফ জানান, ভেতরের পদার্থ যদি উদ্বায়ী না হয়, তাহলে ওজন কম থাকার বিষয়টি মেনে নেওয়া চলে না। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ মাত্র একটি বিস্কুট না থাকার জন্যই এক লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি। একেই বোধহয় বলে তিল থেকে তাল হওয়া। সামান্য একটি ভুলের জন্য রীতিমতো বড় খেসারতই চোকাতে হল ওই সংস্থাকে।