হাতের তালুতে বা শরীরের অন্যান্য অংশে র্যাশ। ফোলা ভাব সেই সঙ্গে জ্বর-জ্বর। এই সমটায় অনেকেই এই ধরনের সংক্রমণের শিকার। এরকম হলে কিন্তু মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে, তার পাশাপাশি আর কোন কোন বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক থাকতে হবে? আসুন শুনে নিই।
কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি। কখনও আবার বেজায় গরম। প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনার মধ্যেই বাড়ছে নানা রকমের সংক্রমণ। তবে, এক বিশেষ ধরনের সংক্রমণে অনেকেই কাবু হয়ে পড়ছেন। এতে হাতের তালু বা শরীরের অন্যত্র র্যাশ দেখা দিচ্ছে। মুখের মধ্যেও ক্ষত ও ফোলা-ফোলা ভাব। এর জেরে জ্বরও চলে আসছে কখনও। মুখে রুচি উধাও, খিদেও পাচ্ছে না। বিশেষ করে মাউথ আলসারের কারণে অনেকেই খুব কষ্ট পাচ্ছেন।
আরও শুনুন: ভুল নির্বাচনে হতে পারে সমস্যা, কী দেখে চিনবেন আপনার উপযুক্ত গর্ভনিরোধক?
এই ধরনের সংক্রমণ দেখা দিলে তা কিন্তু অবহেলা করে ফেলে রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে ছোটদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। বর্ষার মরশুমে যে ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়, এটিও সেরকমই। চিকিৎসকদের মধ্যে, এন্টারোভাইরাস গোত্রের এক বিশেষ ভাইরাসের সংক্রমণেই এই অসুখ দেখা দিচ্ছে।
আরও শুনুন: আশেপাশে কারও চোখে কনজাংটিভাইটিস! নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
মুশকিল হল, এই সংক্রমণ সহজে এক জনের থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সরাসরি সংস্পর্শ হলে যেমন তা ছড়াচ্ছে, তেমনই আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক বর্জ্যের মাধ্যমেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত শিশুরা স্কুল থেকে বা অন্য জায়গা থেকে এই ধরনের সংক্রমণ নিজের মধ্যে বয়ে আনে। ভাইরাসের আক্রমণের দু-তিন দিন থেকেই লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে। ফেলে না রেখে এরকম আক্রমণের শিকার হলে অবশ্যই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। তবে, প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। যেমন, বাইরে থেকে এসে ভালভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। পাবলিক সারফেস বা খোলা জায়গা স্পর্শ করা উচিত নয়। বা যে কোনও জায়গায় পড়ে থাকা যে কোনও জিনিস ছোঁয়া উচিত নয়। বাইরে বেরোলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে মাস্ক পরা যেতে পারে, যদি অন্য কোনও সমস্যা না থাকে। এ ছাড়া হাঁচি-কাশির সময় অবশ্যই মুখ ঢেকে রাখা উচিত।
এই সময়টা ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার বা আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল। গার্গল করলে বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে গলা ব্যথা বা মুখের ভিতরকার জ্বালাভাব থেকে খানিক উপশম মিলতে পারে। এ ছাড়া শরীর যাতে ডিহাইড্রেট না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। সাধারণ ভাবে এই ধরনের সংক্রমণ কিছুদিন পরে সেরেই যায়। তবে, বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।