এই ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও হস্তমৈথুন ভাল না খারাপ, তা নিয়ে একাধিক যুক্তি তর্ক চলতে পারে। তবে হাভার্ডের বিজ্ঞানীরা হস্তমৈথুনের ফলে এক বিশেষ রোগমুক্তির হদিশ দিচ্ছেন, যা পুরুষদের এ কাজ করতে উৎসাহই যোগাবে। ঠিক কী বলেছেন তাঁরা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
হস্তমৈথুন ভাল না খারাপ, এ নিয়ে হাজারও মত থাকতেই পারে। তবে এই অভ্যাসকে এড়িয়ে যাওয়া বোধহয় কোনও পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। নানা বয়সের প্রায় ২হাজার জন ব্রিটিশ পুরুষের মধ্যে ৭৮%-ই ভোট দিয়েছেন, বীর্যপাতের চূড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছানোর আনন্দ, দিনভর তাঁদের মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, মাসে ২১ বার ইজ্যাকুলেশন বা বীর্যপাত করলে, পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। প্রস্টেট ক্যানসার, পুরুষদের ক্ষেত্রে একটি খুবই ভয়াবহ রোগ। এবং এর বেড়ে চলা পরিসংখ্যান জানাচ্ছে গোটা বিশ্বে, প্রতি বছরে প্রায় ১১ লক্ষ পুরুষ এতে আক্রান্ত হন। তবে এর সূচনা কিভাবে বা কি থেকে হয় তার সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা চিকিৎসকদের কাছে এখনও নেই। আর তাই তথ্য খুঁজতে এক বিশেষ পদ্ধতিতে এই সমীক্ষাটি করা হয়। যা পরিচালনা করেন, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, Jennifer R Rider।
প্রস্টেট হল পুরুষের জননতন্ত্রের একটি অংশ, যা মূত্রনালীকে ঘিরে থাকে। প্রস্টেটের কাজ হল বীর্য উৎপাদন করা। আর তাই হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম ও পুরুষের শরীর সম্পর্কিত প্রশ্নবলীর এক লম্বা তালিকা প্রস্তুত করেন সমীক্ষকেরা। সেটি বিভিন্ন বয়সী পুরুষদের দেওয়া হতে থাকে। পুরুষেরা এক সপ্তাহে বা মাসে কতবার যৌনসঙ্গম করেছেন, বা হস্তমৈথুন করেছেন, ছিল সেই প্রশ্নও। দেখা যায় প্রায় ৩২ হাজার পুরুষ সেই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এবং প্রায় ১৮ বছর লেগে যায় সেই সমীক্ষা সম্পূর্ণ করতে।
সমীক্ষায় আসা সেই উত্তরগুলি থেকেই গবেষকেরা খুঁজে পান, যে পুরুষেরা সপ্তাহে প্রায় ৫বার করে নিজেদের ভালবেসে আত্মরতি করেছেন, বা যৌনসুখ দিতে পেরেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। আর তার থেকেই বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, মাসে অন্তত ২১ বার বীর্যপাত করলে, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩ গুণ কমে যায়।
প্রতি বছরই প্রায় ৩ লক্ষ রোগীর মৃত্যু হয় এই ক্যানসারে। ৬০-এর কাছাকাছি বয়সে, প্রায় ৮৫% পুরুষই আক্রান্ত হন এই ক্যানসারে। এই পরিস্থিতিতে যদি রোগমুক্তির উপায় মেলে হাতের মুঠোতেই, তাহলে মন্দ কী!