এখনই বুস্টার ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই। রীতিমতো গবেষণা করে জানাল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সহ বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। যেহেতু কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও বাজার চলতি ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা রয়েছে। এই বিষয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট-এ।
কোভিড ১৯ মহামারি রুখতে বিশ্ববাজারে এখন একাধিক ভ্যাকসিন। যদিও কোনও ভ্যাকসিনই একশ শতাংশ কার্যকরী নয়। অন্য দিকে ক্রমাগত রূপ বদলাচ্ছে ভাইরাস। এখন যেমন, মারণ ভাইরাস ডেল্টা প্লাস নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। এমত অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টারের প্রয়োজন কতখানি?
গবেষকদের একটি দল কিন্তু জানিয়ে দিল, মহামারির এই পর্যায়ে সাধারণ নাগরিকদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই। একথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সহ বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট-এ। সেখানে ঠিক কী বলা হয়েছে?
আরও শুনুন: করোনার Vaccine সারাতে পারে Cancer, আশ্চর্য তথ্য নয়া গবেষণায়
বলা হয়েছে, এখন বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই। যেহেতু মারাত্মক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও বাজার চলতি ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা যথেষ্ট। দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত জার্নালে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, সার্স-কোভ-২-এর মূল ভ্যারিয়েন্ট থেকে হওয়া সংক্রমণ সহ গুরুতর কোভিড রোগের বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর। অন্যদিকে ডেল্টা ও আলফার মতো মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিনের পচানব্বই শতাংশ কার্যকারিতা রয়েছে। এছাড়া এই ভ্যারিয়েন্টগুলি থেকে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন সুরক্ষা দিচ্ছে আশি শতাংশ। চলতি ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে আর কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক আনা-মারিয়া-র কথায়, যদি বর্তমান ভ্যাকসিন সেইসব ব্যক্তিকে দেওয়া যায় যাঁরা এখনও একটিও ডোজও পাননি এবং গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাহলে তাঁদের অধিকাংশেরই জীবন বাঁচানো যাবে।
আরও শুনুন: ভ্যাকসিন নিয়েও ফিরতে পারছেন না স্বাভাবিক জীবনে, Cave Syndrome নয় তো!
অন্যদিকে হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, ভ্যাকসিন দিয়ে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত- জোরাল প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। কতটা ঝুঁকি তাও বিবেচনা করা উচিত।
তবে, গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমলেও, তা গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হ্রাসের পূর্বাভাস নয় মোটেই। সব মিলিয়ে সুখের কথা বটেই।