বেশি মাত্রায় ছড়ালেও অতটা ভয়ের নয় ওমিক্রন। মারণ হওয়া তো দূরের, তেমন কড়া কোনও উপসর্গ পর্যন্ত নেই করোনার এই নয়া স্ট্রেনের! এমন ধারণা থেকেই ওমিক্রনকে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না অনেকে। এমনকি কোভিডে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তো দূর অস্ত, নূন্যতম সাবধানতাটুকুও অবলম্বন করছেন না কেউ কেউ। অনেকে আবার নিজেরাই ডাক্তারি করছেন! না বুঝে বিপদ ডেকে আনছেন না তো তাঁরা! এ ব্যাপারে কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা? শুনে নিন।
করোনার অন্যান্য স্ট্রেনগুলির চেয়ে ওমিক্রনের উপসর্গ অনেক হালকা। সামান্য জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা লাগা। তার জন্যই হয়তো অনেকেই তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না কোভিডের এই নয়া স্ট্রেনকে। ছড়ানোর ক্ষমতা ভয়ঙ্কর বলে একে অনেক আগেই বিপজ্জনক বলে দেগে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যে খেলও দেখাতে শুরু করেছে ওমিক্রন। গত কয়েক দিনে রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, এসে গিয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তার মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত যেমন রয়েছেন, রয়েছেন ডেল্টা সংক্রমিতও।
আরও শুনুন: কবে থামবে ওমিক্রন ঝড়! তৃতীয় ঢেউ শেষের সময় জানালেন বিশেষজ্ঞরা
তবে হালকা উপসর্গ ভেবে অনেকেই তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না এ বারের সংক্রমণকে। ডেল্টার ক্ষেত্রে প্রধান উপসর্গ ছিল স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সেই উপসর্গ একেবারেই নেই। নেই শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। গলায় জ্বালাভাব, ব্যথা, কাশি, হালকা জ্বর, সর্দি- মোটের উপর ওমিক্রন যাচ্ছে অল্পের উপর দিয়েই। মৃত্যুর হার নেই বললেই চলে। হাসপাতালে ভর্তির হারও বেশ কম। সাধারণ জ্বর বা ভাইরালের মতোই উপসর্গ করোনার এই নয়া স্ট্রেনের।
গত ঢেউয়ের তুলনায় হিসেব কষলে অনেকটাই কম বিপজ্জনক ওমিক্রন। সে জন্যই হয়তো হালকা ভাবে নিচ্ছেন অনেকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তো দূরের কথা, অনেকে ভরসা রাখছেন ঘরোয়া টোটকাতেই। করোনার উপযুক্ত চিকিৎসা না করিয়ে তাঁরা কিন্তু আখেরে নিজেদেরই বিপদই ডেকে আনছেন। তেমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও শুনুন: মা ভ্যাকসিন নিলে মাতৃদুগ্ধেই কোভিডের অ্যান্টিবডি পাবে শিশু, জানালেন গবেষকরা
অনেকে এতটাই হালকা ভাবে নিচ্ছেন যে পরীক্ষা করার প্রয়োজনটুকু বোধ করছেন না। ফলে তাঁরাই হয়ে উঠছেন সুপার স্প্রেডার। অনেকেই আবার সাহায্য নিয়ে বসছেন গুগলের। ইন্টারনেটে দেখেই টপাটপ মুখে পুরছেন রাজ্যের ওষুধ। এর ফলে সংক্রমণ বাড়তেও পারে বইকি। তাছাড়া, সকলের সব ধরনের ওষুধ না-ও চলতে পারে। সেসব ওষুধ আপনার ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু করবে না। গলা থেকে সংক্রমণ একবার শ্বাসযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে গেলে তার ফল হতে পারে ভয়াবহ। আর করোনা কিন্তু আমাদের শ্বাসযন্ত্রের উপরে অনেকখানিই প্রভাব ফেলে। ফলে কোভিড রোগীদের দরকার অতিরিক্ত যত্ন।
বাকি অংশ শুনে নিন।