রাস্তায় বেরিয়ে সঙ্গে জলের বোতল না থাকলে রীতিমতো টেনশনে পড়ে যান অনেকে। তার কারণও আছে। সব সময় সব জায়গায় পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া কিন্তু কঠিন ব্যাপার! আর জল এমন একটা বস্তু যা না খেলেই নয়, আবার একটু এদিক ওদিক হলেই পেটের সমস্যা অবধারিত। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই আমাদের ভরসা রাখতে হয় প্যাকেজড মিনারেল ওয়াটারের উপরে। আশপাশের প্রায় সমস্ত দোকানেই মেলে এই বোতলজাত পানীয় জল। দরকার মতো জলের বোতল কিনে তো নিচ্ছেন! তবে তার এক্সপেয়ারি ডেট দেখে নিচ্ছেন তো! নাকি নিজের ভুলে অজান্তেই বড় ক্ষতি ডেকে আনছেন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, শুনে নিন।
বেড়াতে গিয়ে হোক, বা অন্য কোথাও- সব সময় তো বাড়ি থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল বয়ে আনা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ভরসা মিনারেল ওয়াটার। আর প্রায় সব দোকানেই মেলে এই বোতলজাত পানীয় জল। ফলে প্রয়োজনে তেষ্টা মেটায় সেই জলই।
আরও শুনুন: গলা ব্যথা, দুর্বলতা… আর কী কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তদের?
বোতলজাত জল কেনার সময় বোতলের গায়ে কীসব হাবিজাবি লেখা থাকে, সেসব পড়ে দেখেছেন কখনও। জলের দামেই পাচ্ছেন একগুচ্ছ খনিজ পদার্থ, যা আবার কৌশলে মেশানো রয়েছে আপনার ওই এক বোতল জলেই, তা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন অনেকে। তবে তার সঙ্গেই জলের বোতলের গায়ে সযত্নে লেখা থাকে তার এক্সপেয়ারি ডেট, তা কখনও খেয়াল করেছেন কি? দোকান থেকে জল কেনার সময় আদৌ কি সেই ডেট দেখে কেনেন! না ডানদিক বাঁদিক না দেখে বোতলের ছিপি খুলেই গলায় ঢেলে দেন সেই জল?
আরও শুনুন: সকালের চায়ে ভাসছে গোলাপের পাপড়ি… কী করে বানাবেন নানা স্বাদ-বর্ণের ভেষজ চা?
যদি আপনি দ্বিতীয় দলে পড়েন, তবে কিন্তু অবশ্যই রয়েছে দুশ্চিন্তার কারণ। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, বাকি সব জিনিসের মতোই জলের বোতলও কেনা উচিত এক্সপেয়ারি ডেট দেখেই।
আরও শুনুন: বড় অসুখ বাসা বেঁধেছে শরীরে! জিভ দেখেই বোঝা যায় অসুখের বহর
আসলে জল নিজের গুণে যতই ভাল থাকুক না কেন, সমস্যা কিন্তু রয়েছে ওই প্লাস্টিকের বোতলে। কেননা এই বোতলের প্লাস্টিক যদি কোনও কারণে নষ্ট হতে শুরু করে তবে তা বিষিয়ে দেয় জলকেও।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, মিনারেল ওয়াটারের বোতল ১৫-২০ দিনের পরে আর ব্যবহার করা উচিত নয়। এদিকে আমরা অনেকেই মিনারেল ওয়াটারের বোতল সযত্নে জমিয়ে রাখি। অনেক সময় তো বাড়িতে জল রাখতে ফের ব্যবহার করা হয় বোতলগুলোকে। যা একেবারেই অনুচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও শুনুন: ওজন বাড়ার ভয়ে ঘি খাচ্ছেন না! হিতে বিপরীত হচ্ছে না তো?
দোকানগুলিতে বেশির ভাগ সময় রোদে-জলে ফেলে রাখা হয় মিনারেল ওয়াটারের বোতলগুলিকে। সেক্ষেত্রে বেশি তাপমাত্রায় প্লাস্টিক বোতলের উপাদানের রাসায়নিক পরিবর্তন হতে থাকে। যা মিশতে পারে পানীয় জলের সঙ্গে। তা ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল বানাতে ‘বাইফিনাইল-এ’ নামে এক ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা থেকে হার্টের অসুখ, ব্রেস্ট ক্যানসারের মতো অসুখ হতে পারে। এমনকি বন্ধ্যাত্বের সমস্যাতেও ভুগতে পারেন পুরুষরা।
বাকি অংশ শুনে নিন।