অন্ধকারের ঘেরাটোপেই জমে ওঠে যৌনতার মৌতাত! গড় অভ্যাস ধরলে বলা যায়, আঁধারে আদরেই বেশি স্বচ্ছন্দ মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। যৌনতার আঁচ বাড়িয়ে তুলতে কী তাঁদের পরামর্শ? আসুন শুনেই নেওয়া যাক।
আলো কমে এলেই নাকি সত্যিকার আলো আসে। অন্তত যৌনতার ক্ষেত্রে অনেকে কিন্তু তেমনটাই ভাবেন। ফ্যাটফ্যাটে দিনের আলোতে কি রমণীয় যৌনতায় ডুব দেওয়া যায়? কিংবা সারা ঘর কৃত্রিম আলোয় যখন ভেসে যাচ্ছে, তার ভিতরেও কি সঙ্গমসুখ খুঁজে পাওয়া সম্ভব! সত্যি বলতে, এ বিষয়ে নানা মুনির নানা মত। নিয়মিত যাঁরা যৌনতায় রত হন, তাঁদের পছন্দ আলাদা আলাদা। কেউ কেউ বলেন, অন্ধকার ঘন হয়ে এলেই শরীরী স্পর্শে ফুটে ওঠে যৌনতার মায়া। এ ব্যাপারে অন্ধকারের দিকেই ভোট পড়ে বেশি। বেশিরভাগ যুগল আলোয় যৌনতার ব্যাপারটিকে সহ্যই করতে পারেন না। তাঁদের মতে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার জন্য যে আড়াল, গোপনীয়তা দরকার তা অন্ধকার ছাড়া মেলে না। আর তা না হলে, যৌনতার তারটা ঠিকঠাক সুরে বাঁধাও হয় না। আলোর ভিতর নগ্নতা নিয়েও অনেকে লজ্জাবোধ করেন। সেই দ্বিধার জায়গা থেকেই যৌনতায় ছন্দপতন শুরু হয়। আর তাই অন্ধকারেই যৌনতাকে শিরোধার্য করে নেন অনেকে। অনেকের আবার মত, ভোরের আলো বা সকালে সঙ্গম তো মন্দ নয়। সেক্ষেত্রে বেশি আলো না থাকলেও যে হালকা আলোর উপস্থিতি, তাতে অসুবিধা হওয়ার কথাই নেই। একই কথা রাতের সঙ্গমের জন্যও প্রযোজ্য। ঘর একেবারে অন্ধকার না করে হালকা আলো জ্বালিয়ে যৌনসুখে ডুবে যাওয়ার পক্ষপাতী অনেকেই।
আরও শুনুন: পুরুষরা জানেন তো! তৃপ্তির খোঁজে ঠিক কতক্ষণ যৌনতা চান মহিলারা?
কিন্তু আলো না অন্ধকার? যৌনতৃপ্তির জন্য কোনটির প্রয়োজনীয়তা বেশি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ যুগল আলো নিভিয়ে তবেই যৌনতায় মাতেন বটে, তবে আলো জ্বললেই বরং যৌনসুখ আরও বাড়ে। তবে এ শুধু মুখের কথা নয়। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণও আছে এর পিছনে। প্রথমত, চোখের ভাষা যে কোনও সম্পর্কেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সঙ্গীর চোখে চোখ রেখেই তাঁর মনের আঁচ পাওয়া যায় অনেকখানি। রতিক্রিয়ায় শুধু দুটি শরীরই তো উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে না, বাসনার আগুন জ্বালানোর সেই কাজটি করে মন। অর্থাৎ সঙ্গীর মন পড়তে পারলে শারীরিক সম্পর্কের উষ্ণতাও যে বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। দ্বিতীয়ত, শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা জানা খুব জরুরি যে, সঙ্গীর অনুভূতি। অর্থাৎ তিনি কতখানি যৌনতা উপভোগ করছেন। অন্ধকারে তা বোঝা সম্ভব নয়। বরং আলোতেই এই প্রতিক্রিয়া সহজে চোখে পড়ে। সেক্ষেত্রে সঙ্গীর প্রতিক্রিয়া উদ্দীপনা জাগাতে আরও বেশি সাহায্য করে। এ ছাড়া শরীরী নগ্নতা নিয়ে অনেকসময় দ্বিধা-জড়তা এসে স্বাভাবিক যৌনতার পথ রোধ করে। যা থেকে মুক্তি খুঁজতে অন্ধকার পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু তার উলটোটাই বরং বাস্তব। আলোয় নগ্নতা স্পষ্ট হলেও তা বডি পজিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। নিজের ও সঙ্গীর শরীরের প্রতি সেই বাড়তি ভালবাসাই যৌনতাকে আরও মোহময় করে তোলে।
আরও শুনুন: তুলতুলে চাদরের আদরেই বাড়ছে যৌন উদ্দীপনা, চাহিদা তুঙ্গে সেক্স ব্ল্যাঙ্কেট-এর
এক কালে একান্নবর্তী পরিবারে বহু মানুষ একসঙ্গে থাকতেন। ফলে রাতের অন্ধকার ছাড়া যুগলরা ঘনিষ্ঠ হওয়ার সময় পেতেন না। সে দিন গিয়েছে। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে শুধু রাতের আঁধারই যে আদরের একমাত্র ঠিকানা হয়ে উঠবে তার কোনও মানে নেই। বরং আলোতেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে যৌনতা। তাতে তৃপ্তি বাড়বে বই কমবে না! এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা, তবে বিষয়টি যেহেতু যৌনতা, তাই বাকিটা অবশ্যই ব্যক্তিগত।