করোনা-অতিমারিতে পাল্টেছে জীবন। হঠাৎ করেই যেন ডিজিটাল-যুগে ঢুকে পড়েছি আমরা। টিভি-মোবাইল-ল্যাপটপ এসব তো আগেও ছিল। তবে করোনা যেন এসবকে নতুন করে চিনতে শিখিয়েছে আমাদের। স্কুল-কলেজ থেকে চাকরিবাকরি, সবটাই ডিজিটাল মাধ্যমে। ফলে বাড়ছে স্ক্রিনটাইম। ল্যাপটপ-মোবাইলে কতক্ষণ সময় কাটাচ্ছি আমরা? নিজের অজান্তেই চোখের ক্ষতি করে ফেলছি না তো? কাজ, পড়াশোনা এসব তো চলবেই। তারই ফাঁকে চোখের জন্য বের করে নিন একটুখানি সময়। কী করে যত্ন নেবেন চোখের? শুনে নিন।
অতিমারির এই দু-বছরে স্কুল-কলেজ পড়াশোনা, সবটাই উঠে এসেছে মোবাইলে। অফিস, তা-ও ঘরে বসে, ল্যাপটপে। পড়াশোনা বা কাজের ফাঁকে বিনোদনের সময় বলতে যেটুকু, তা-ও তো বন্দি টিভি, ল্যাপটপ বা মোবাইলেই। এই লকডাউন জুড়ে জমিয়ে ওয়েব সিরিজ আর সিনেমা দেখে ফেলেছেন নিশ্চই। আজকাল তো মোবাইলেই পড়ে ফেলা যায় বইও। তা সে সব আমাদের মনের খিদে মেটাচ্ছে বটে, তবে চোখের জন্য বড়সড় বিপদ ডেকে আনছে না তো।
শুধু বড়রাই নয়, এই গন্ডিতে ঢুকে পড়েছে ছোটরাও। এই গোটা অতিমারি জুড়ে বিশ্ব জুড়ে মানুষের ডিজিটাল স্পেসে সময় কাটানোর প্রবণতা যে ভাবে বেড়েছে, তা কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগের। বেড়েই চলেছে স্ক্রিনটাইম। মোবাইলে কতটা সময় কাটাচ্ছেন, তা দেখার উপায় রয়েছে মোবাইলেই। কিন্তু সারাদিনের সমস্ত কাজ মিলিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের দুটো চোখ কতটা ধকল সহ্য করছে, তা কখনও ভেবে দেখেছেন কি!
আরও শুনুন: মিটিংয়ের মধ্যে হাই উঠছে বারবার, রেহাই পেতে কী করবেন?
কাজ বা পড়াশোনা, ছাড়তে পারবেন না কোনওটাই। আর বিনোদনটুকুও তো থাকতে হবে। তাই সব সামলে চোখকে আর একটু ভাল রাখবেন কী করে, তারই সুলুক সন্ধান দিতে চলে এসেছি আমরা। শুনে নিন খুঁটিনাটি।
প্রথমেই খেয়াল রাখুন খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি। প্রতিদিন খাবারের প্লেটে থাক সুষম খাদ্য। থাকুক ফলমূল ও প্রচুর শাকসব্জি। বিশেষত হলুদ ও সবুজ পাতাজাতীয় সব্জি। মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ আপনার চোখকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
কাজের ফাঁকে বুদ্ধির গোড়ায় একটু ধোঁয়া না দিলে মাথা খোলে না, এ অভ্যেস নিশ্চই অনেকেরই আছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের চোখের রোগ এসে বাসা বাঁধে। অতিরিক্ত ধূমপানের জেরে বাড়ে সেই সম্ভাবনাও। একেবারে ছাড়তে না পারলেও, অন্তত সংখ্যাটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন।
ব্যবহার করুন রোদচশমা বা সানগ্লাস। অতিবেগুনী রশ্মি বা ইউভি রে সরাসরি চোখে লাগলে তা ক্ষতিকর। তাই বাড়ি থেকেবেরোনোর ব্যাগে মনে করে ঢুকিয়ে নিন আপনার সানগ্লাসটি।
সম্ভব হলে চশমায় ব্যবহার করুন অ্যান্টিগ্লেয়ার গ্লাস। টিভি, মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আসা অতিবেগুনী রশ্মিকে আমাদের চোখ পর্যন্ত পৌঁছতে দেয় না এই গ্লাস। চোখে পাওয়ার না থাকলেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন এই ধরনের গ্লাস। প্রয়োজনে সাহায্য নিন চক্ষু বিশেষজ্ঞের।
আরও শুনুন: ঘুমকাতুরে বলে বদনাম! গবেষকরা কিন্তু বলছেন একেবারে অন্য কথা
ল্যাপটপ হোক বা টিভি কিংবা মোবাইল। কাজ করার সময় চোখের থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা কিন্তু খুবই জরুরি। কী সেই দূরত্ব। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অন্তত এক হাত দূরে রাখুন ল্যাপটপ। এবং চোখের স্তর থেকে ২০ ডিগ্রি নীচে রাখতে হবে সেটি। এবং যথেষ্ট আলোকিত হতে হবে কাজ করার ঘর। না হলে চোখের উপরে চাপ পড়তে পারে।
দিনের পর দিন ধরে কম ঘুম, অনিদ্রা। চোখের উপরে কিন্তু চাপ পড়ছে। ঘুম মানুষের শরীর,মন, সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। শরীর-মনের মতো চোখেরও দরকার আরাম।
বাকি অংশ শুনে নিন