নির্দিষ্ট বয়সে এসে চুল পাকছে, সে নাহয় মেনে নেওয়া গেল। কিন্তু কম বয়সেই যখন চুল পাকতে শুরু করে, তখন মাথায় হাত পড়ে সবারই। কেন চুল পাকে অসময়ে? আদৌ কি রেহাই পাওয়া সম্ভব এই সমস্যা থেকে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
চুলের কালো রঙের জন্য দায়ী ‘মেলানিন’ নামে একটি রঞ্জক। যা চুল নিজেই উৎপাদন করে চলে। এই মেলানিন উৎপন্ন না হলেই চুল পাকতে শুরু করে। মানুষের বয়স যত বাড়ে, চুলের মেলানিন উৎপাদনের ক্ষমতাও ততই কমে যেতে থাকে। যার অনিবার্য ফল চুলের রং ফিকে হয়ে আসা। বয়স ছাড়াও, বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কারণেও একইভাবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কোনও ধরনের মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে চুল পাকতে পারে। সিগারেট খেলে মেলানিন উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে চুলে পাক ধরার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। চুল পাকতে পারে পেটের সমস্যার কারণেও। আবার যথাযথ পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার না খেলে চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। সেক্ষেত্রেও চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও শুনুন: রাতদিন মোবাইলের দিকে তাকিয়ে চোখের বারোটা বাজছে! যত্ন নেবেন কী করে?
কিন্তু এ তো গেল সমস্যার কথা। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে কী উপায়ে?
প্রথমত, ধূমপানকে জীবন থেকে ছুটি দিন। বিদায় করুন টেনশনকেও, অন্তত যতখানি সম্ভব। তাতেই আপনার অর্ধেক সমস্যার সমাধান। এবার নজর দিন আপনার খাদ্যতালিকার দিকে। দেখে নিন ঠিকঠাক পুষ্টি পাচ্ছে কি না আপনার শরীর এবং চুল। যে ধরনের খাবারে ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলো রাখুন নিয়মিত খাদ্যতালিকায়। ভিটামিন বি৫-এ রয়েছে প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, যা চুল সাদা হওয়াকে বিলম্বিত করতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সেই অনুযায়ী ডায়েট চার্ট বানিয়ে ফেলুন।
আরও শুনুন: চোখের তলায় কালি পড়ছে? রেহাই পান ঘরোয়া উপায়েই
আর যেসব চুল পেকেই গিয়েছে, তাদের নিয়ে কী করণীয়? পাকা চুল তুলে ফেললেও রেহাই নেই, তা আরও ছড়িয়ে পড়ে। বাজারচলতি রং ব্যবহার করেন অনেকেই, কিন্তু রাসায়নিকের প্রভাবে চুল এবং ত্বকেরও ক্ষতি হয়। অনেকের স্পর্শকাতর ত্বকে এই রং একেবারেই সহ্য হয় না। তাই উপায় খুঁজে দেখতে পারেন বরং আপনার রান্নাঘরেই।
শুনে নিন বাকি অংশ।