সঙ্গমে চাই দেদার আনন্দ! মন তো চাইছে, কিন্তু আপনার শরীর সায় দিচ্ছে তো! বিশেষত মহিলারা যোনির দিকে যথেষ্ট নজর রাখেন কি? যোনির স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সঙ্গমও জমবে না। তাহলে কী করবেন আর কী কী করবেন না? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সঙ্গমের সময় সাত-পাঁচ জিনিস মাথায় থাকে না। বিশেষত উত্তেজক মুহূর্তে যৌনাঙ্গের ভালোমন্দের কথা কেউই প্রায় মনে রাখেন না। অসতর্কতার দরুন সঙ্গমকালে যোনির ক্ষতিও হতে পারে। তবে, তা যদি না-ও হয় সবথেকে জরুরি বিষয় হল যোনির স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া। খুব সাধারণ কারণেও যোনিতে নানা ক্ষতি হতে পারে, যা পরবর্তী কালে সঙ্গমের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দেখা দেয়।
আরও শুনুন: ‘কাজ না করার ছুতো মেনোপজ!’ মহিলা কর্মীকে কটাক্ষ করে ৩৭ লক্ষ টাকা জরিমানা গুনলেন বস
যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বলে থাকেন, যোনি থেকে মানুষে যা প্রত্যাশা, তা যদি স্পষ্ট হয়, তবে অবচেতনে সেই ভাবনা চলতে থাকে। একে বলা হয় ‘রেটিকুলার অ্যাক্টিভেটিং সিস্টেম’। এই সিস্টেমের ফলে যোগাযোগ তৈরি হয় মস্তিষ্কের সঙ্গে, যা আবার যোনির দুর্বলতা কিংবা উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এত তত্ত্বকথায় না গিয়েও সহজ করে ব্যাপারটা বুঝে নেওয়া যায়। সঙ্গমকালে যোনি যাতে মন-মর্জি মতো ব্যাবহার করে, আমরা তেমনটাই চেয়ে থাকি। তবে, যোনির স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে তবেই তো তা সম্ভব। তাই কেবল সঙ্গমে মশগুল হলেই চলে না, এই দিকটাতেও বিশেষ নজর দিতে হয়।
আরও শুনুন: বর্ষা পড়লেই নগ্ন হতে হয় মহিলাদের, এমন প্রথা কোথায় চালু আছে জানেন?
চিকিৎসকরা বলে থাকেন, মন ভালো থাকলে শরীরও ভালো থাকে। যোনির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মনেপ্রাণে যদি পজিটিভ থাকা যায় তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় যোনিতেও। তবে শুধু এটুকুই যথেষ্ট নয়। সাধারণ ভাবে আরও কয়েকটি দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। যেমন, যোনির বাইরের অংশ নিয়মিত ঈষদুষ্ণ সাবানজলে ধুয়ে পরিষ্কার করা উচিত। তাবে এই সাবানে কোনও সুগন্ধী মেশানো না থাকলেই ভালো। তবে একই ভাবে কিন্তু যোনির ভিতরের অংশ পরিষ্কার করা একদমই উচিত নয়। তাতে উলটে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যথেষ্ট পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। তাতে যোনি হাইড্রেট থাকে। ফলে সঙ্গমকালে ঘর্ষণজনিত কারণে কেটে-ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না। সেই সঙ্গে ডায়েটে ফল এবং সবজি রাখা জরুরি। তাতেও যোনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
সঙ্গমকালে যৌন সংক্রমণ রুখতে যে কন্ডোম ব্যবহার করতে হবে, এ কথা আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই জানা। তবে, চিকিৎসকরা আরও কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখতে পরামর্শ দেন, যা সাধারণত আমরা এড়িয়ে যাই। কাজের দরুন অনেককেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। এর ফল, গরম ভাব এবং আদ্রর্তায় যোনিতে এমন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের জন্ম হতে পারে, যা ক্ষতিকর। তাই টানা বসে না থেকে মাঝে মধ্যেই উঠে হাঁটাচলা করে নেওয়া উচিত। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম্নাঙ্গে সবসময় সুতির পোশাক পরা জরুরি। যাতে হাওয়া-বাতাস খেলে, এবং অকারণ ঘাম না হয়। খুব টাইট প্যাণ্ট না পরে হালকা ঢিলেঢালা পোশাক পরাই শ্রেয়। অর্থাৎ সঙ্গমে যদি আনন্দ পেতে হয়, তাহলে যোনিকেও ভাল রাখতে হবে। আর তাই এই জরুরি বিষয়গুলো ভুললে কিন্তু একদম চলবে না।