অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা কিছু নতুন নয়। উল্টোপাল্টা তেলমশলা দেওয়া খাবার থেকে শুরু করে আবহাওয়া পরিবর্তন। নানা কারণেই অ্যাসিডিটি হতে পারে। আর সেই থেকে দেখা দিতে পারে হাজারটা সমস্যা। যা অবহেলা করলে ক্রনিক রোগের আকারও নিতে পারে সেটা। এমনিতে বাজারে হাজার রকম অ্যান্টাসিড তো পাওয়াই যায়। তবে সে সব ছাড়াও প্রাকৃতিক বহু জিনিসেই কিন্তু রয়েছে অ্যাসিড কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই। কী সেসব, শুনে নিন।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় কখনও ভোগেননি, এমন মানুষ বোধহয় কমই আছেন। পেটে ব্যথা, বুক জ্বালা, হেঁচকি থেকে শুরু করে বদহজমের মতো নানা ধরনের অসুবিধা দেখা যায় অ্যাসিডিটির কারণে। এ সব ক্ষেত্রে ঝটপট অ্যাসিড কমানোর জন্য বাজারে রয়েছে হরেক রকম অ্যান্টাসিড। তাতে তাৎক্ষণিক আরাম মিললেও বারবার ফিরে ফিরে আসে অ্যাসিডিটির সমস্যা।
হাজারটা প্রাকৃতিক জিনিসেও কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে অ্যাসিডিটি তাড়ানোর দাওয়াই, তার খবর রাখেন কি! ওষুধ তো রয়েইছে, কিন্তু অ্যাসিডিটি থেকে দীর্ঘমেয়াদী রেহাই পেতে এই সব জিনিসগুলোও কিন্তু ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কী সেসব? শুনে নিন কী বলছে বিশেষজ্ঞেরা।
আরও শুনুন: মাথার যন্ত্রণায় অস্থির? ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া টোটকায়
পাকা কলা। পেটের জন্যও দিব্যি উপকারী অত্যন্ত সহজলভ্য এই ফলটি। রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও পটাশিয়াম। মিউকাস তৈরি করতে সক্ষম এই ফলটি কিন্তু পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরিতে বাঁধা দেয়। অ্যাসিডিটির ফলে আমাদের শরীরে যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, তার সঙ্গে লড়ে।
অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করে না। আবার দুধ খেলে অ্যাসিড হয়, এমন মানুষও আছেন। আবার এই দুধই কিন্তু উপশম হতে পারে অ্যাসিডের। ঠান্ডা দুধ খেলে নাকি অ্যাসিডিটির ফলে যে জ্বালাভাব অনুভূত হয়, তা কমে। হাড়ের জন্য দুধের কোনও তুলনা হয় না, তা তো আমরা জানিই। তবে এই ক্যালসিয়াম কিন্তু অ্যাসিড তৈরি হতে আটকায়। অ্যাসিড তৈরি করতে পারে এমন উপাদানগুলিকে শোষণও করে। তবে সে ক্ষেত্রে চিনি বা কোনও চকলেট পাওডার কিন্তু নৈব চ।
দুধ খেতে যাদের আপত্তি, তারা ব্যবহার করতে পারেন ঠান্ডা বাটারমিল্ক বা ঘোলও। এর মধ্যে থাকে ভাল ব্যাকটিরিয়া, যা পেটকে ঠান্ডা রাখে, অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। গুরুপাক খাওয়াদাওয়ার পরেও এই বাটারমিল্ক কিন্তু দিব্যি কাজের।
আরও শুনুন: শরীরে কি ঘাটতি হয়েছে আয়রনের? কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন?
মৌরি। প্রায় সব রান্নাঘরের মশলাকৌটেই মেলে এই আশ্চর্য জিনিসটির সন্ধান। রান্নায় তো বটেই, মুখশুদ্ধি হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয় এই মৌরি। ভিটামিন ও মিনারেলসের পাশাপাশি এক ধরনের বিশেষ ফাইবার থাকে, যা অ্যাসিডিটি রুখতে দারুণ কার্যকরী। গর্ভবস্থায় নানাবিধ ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম বিধিনিষেধ থাকে। সেক্ষেত্রে অ্যাসিডিটি রুখতে খাওয়া যেতেই পারে মৌরি।
অ্যাসিডিটি, বমিভাব এই ধরনের সমস্যায় দিব্য উপকারী তুলসী পাতাও। অ্যাসিডিটি হলে দু-তিনটি তুলসীপাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে দেখুন, গায়েব হবেই হবে অ্যাসিডিটি। পুদিনা পাতাও কিন্তু অনেকটা একই রকম কাজ করে।
বাকি অংশ শুনে নিন।