বলা হয়ে থাকে, সৌন্দর্যের কোনও ওয়েট লিমিট নেই। সবরকম শরীরই নিজের নিজের মতো করে সুন্দর। কিন্তু অবাঞ্ছিত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে কে না চান! একখানা নাদুসনুদুস ভুঁড়ি কাউকেই বিশেষ আনন্দ দেয় না। কিন্তু পেটে জমে থাকা ফ্যাট যে সহজে ঝরতেও চায় না। তাই শুনে নিন এমন কিছু উপায়, যা মেনে চললে ভুঁড়ির হাত থেকে মিলতে পারে রেহাই।
স্থূলত্বের সঙ্গে সৌন্দর্যের কোনও সম্পর্ক আদপেই নেই। কিন্তু স্বাস্থ্যের সঙ্গে আছে। যদি মেদ আপনার শরীরের পক্ষে অবাঞ্ছিত হয়, তা যদি শরীরকে দুর্বল করে, এমনকি অসুস্থতার দিকেও ঠেলে দেয়, তবে সেই অতিরিক্ত মেদ কিন্তু ঝরিয়ে ফেলাই মঙ্গল। বিশেষত পেটে যদি অতিরিক্ত চর্বি জমে, তবে একখানা বেঢপ ভুঁড়ি নিয়ে নারী পুরুষ সকলেই বেশ বিব্রত বোধ করেন। কিন্তু বললেই তো আর আপনার শরীরে ঘাঁটি গেড়ে বসা চর্বিরা টা টা বাই বাই করে বিদায় নেবে না। তার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে আপনাকেই।
আরও শুনুন: বদহজমে বেসামাল! তুলসীপাতা কিংবা মৌরিই হতে পারে মহৌষধ
খাওয়া এবং ঘুমের ঘাটতি ভুঁড়ি হওয়ার দুই অব্যর্থ কারণ। সুতরাং প্রথমত চেষ্টা করুন রাত না জাগার, এবং সময় মেপে ঘুমনোর। পাশাপাশি, অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। মিল স্কিপ করে যতটা না ওজন কমে, তার চেয়ে ক্ষতি হয় অনেক বেশি। বরং অল্প পরিমাণে বারবার খাওয়া উচিত।
এবার প্রশ্ন, কী খাবেন?
খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। প্রোটিনের জোগান দেবে ডিমের সাদা অংশ, মাছ, চিকেন কিংবা সয়াবিন। তবে তৈলাক্ত মাছ বা রেড মিট নয়, বলাই বাহুল্য। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। বদলে যোগ করুন ডাল, সবুজ সবজি। আর বারবার খাওয়ার জন্য বেছে নিন ফল, আমন্ড, টক দই, স্যালাড ইত্যাদির মতো কম ক্যালোরির খাবার। জলখাবারে রাখতে পারেন ছাতু কিংবা ওটস। ওজন কমাতে চাইলে যে দুটি জিনিসকে বাদ দিতেই হবে, তা হল তেল ও মিষ্টি। রান্নায় তেলের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দিন। চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকোলেট, আইসক্রিম আপাতত বাদ দিন। বাদ দিন সফট ড্রিঙ্কসও। চিনির মতোই, কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন। নুনের সোডিয়াম ব্লোটিং বা পেট ফুলে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই খাবারে নুনের পরিমাণ কমাতে পারলে লাভ বই ক্ষতি নেই। আর সবচেয়ে ভাল হয়, যদি কোনও ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে একটা ডায়েট চার্টই বানিয়ে নিতে পারেন।
আরও শুনুন: মাথার যন্ত্রণায় অস্থির? ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া টোটকায়
খাবারের পাশাপাশি, কোন পানীয় বেছে নেবেন?
প্রথমত, যথাযথ পরিমাণে জল খান। শরীর ভাল রাখবে, আবার ওজন কমাতেও জল পানের বিকল্প নেই। গ্রিন টি, কিংবা চিনি ছাড়া ঘোলও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। সিন্থেটিক ফ্রুট জুসে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তার বদলে নিজেই ফলের রস বানিয়ে নিন, কিংবা গোটা ফল খান।
তাহলে দেখছেন তো, খাবারের অভ্যাসে সামান্য অদলবদল আনলেও বদল ঘটতে পারে চেহারায়। কাজের চাপে, সময়ের অভাবে সবসময় হয়তো আপনি শরীরচর্চা করে উঠতে পারছেন না। কিন্তু জানেনই তো, নাই মামার চেয়ে কানা মামাও ভাল। একেবারে হাল ছেড়ে বসে থাকার বদলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলেই দেখুন না!