সকাল থেকেই মনকেমন। কিন্তু আপনার বস তো আর আপনার মন কেমনের দায় নেবেন না। আপনাকে আপনার নাদান মনটাকে সামলে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তা কথা হল আপনি এই মনকেমন ব্যাপারটা সারাবেন কী করে?
মনকেমন আর মনখারাপ যে এক কথা নয় তা আমরা এতদিনে জেনেছি। এই মনকেমন যে কেন হয় আর কীসে যে মনটা সেরে গিয়ে আবার আগের মতো কাজ করা শুরু করবে কিছুতেই ভেবে উঠতে পারি না আমরা। তার মধ্যে অফিসের কাজ – মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা পড়ার সামিল। কিন্তু মনকেমন করুক বা মন খারাপই থাকুক, কোনও কারণ ছাড়াই, এই কিচ্ছু ভাল্লাগছে না, কিচ্ছুতে মন বসছে না গোছের ব্যাপারটা তো সারাতে হবে।
আরও শুনুন: কেন তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
সায়েন্টিফিক্যালি দেখতে গেলে এই সময় আপনার শরীরে কিছু Happy Hormone-এর দরকার। যা আপনার এই মনকেমন ব্যাপারটা হাপিস করে দিতে পারে। প্রথমেই তো মাথায় আসে food therapy- মানে খাবার খেয়ে আপনার শরীরের Happy Hormone-কে boost up করে নেওয়ার কথা। আমরা অনেকে করেও থাকি সেটা।
প্রচুর পরিমাণে মাছ, মাংস, চিজ জাতীয় প্রোটিন খেলে শরীরে ডোপামিন হরমোন বাড়ে। যার আরেক নাম feel good হরমোন । তা ছাড়া পছন্দের গান শোনা, পর্যাপ্ত ঘুম আর প্রায়শই একটু আধটু যোগাভ্যাস, এই হরমোনকে ব্যালেন্সে রাখতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন- কে বলে mood setter হরমোন। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ডিম, স্যামন মাছ আর টার্কিতে এই হরমোনের মাত্রা বাড়ে শরীরে। তা ছাড়া শরীরচর্চা তো রয়েইছে।
এবার আসি Love হরমোন অক্সিটোসিনের কথায়।
আরও শুনুন: চলছে Work From Home, প্রেমের দফারফা! সম্পর্কে চিড় তাহলে সামলাবেন কীভাবে?
Human touch -কে বলা হয় first form of communication বা সংযোগের প্রধান এবং প্রাথমিক ধরন। আর এই অক্সিটোসিন হরমোন শুধু এই ভাষাই বোঝে। আর যেটা খেলে শরীরে এই হরমোনের মাত্রা সাঁ সাঁ করে ঊর্ধমুখী
হবে, তা হল চুমু। আরে নামটাই যে Love হরমোন! প্রিয় মানুষটিকে শুধু জড়িয়ে থাকা বা ফোরপ্লেতে-ও শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। মূল কথা এই Love হরমোন প্রেম, আদরের ছোঁয়ায় বাড়ে।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।