রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা লেগে যাওয়া, কিংবা ফোসকা পড়া, এমনটা রান্নাঘরের খুব চেনা গল্প। সকলের সঙ্গেই এমনটা মাঝে মাঝে ঘটে থাকে। আর অনেকেই তাতে পাত্তা না দিয়ে হাতের কাজ সারতেই বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েন। কিন্তু তাতে বাড়তে পারে সংক্রমণের সম্ভাবনা। তাই হাতের কাছেই থাকা কোন কোন জিনিস এই সময়ে উপকারে লাগতে পারে, শুনে নেওয়া যাক।
রান্না করতে গিয়ে গরম কড়াইয়ে হাত ঠেকে গেল আচমকা। কিংবা গরম তেল বা ফোড়ন ছিটকে এল হাতে। বা হয়তো চা ঢালতে গিয়ে হাতের উপরে পড়ে গেল। এমনটা কমবেশি আমাদের সকলের সঙ্গেই হয়ে থাকে। তার অনিবার্য ফল ছ্যাঁকা লেগে সেই অংশটা লাল হয়ে যাওয়া। কিংবা ফোসকা পড়ে যাওয়া। এগুলো সবই আসলে পুড়ে যাওয়ার এক-একটা পর্যায়। থার্ড ডিগ্রি বার্নের মতো ভয়াবহ না হলেও এই ক্ষতগুলির পরিচর্যা করা জরুরি, না হলে পরে সংক্রমণও ঘটতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে যদি কোনও ওষুধবিষুধ নাও মেলে, হাতের কাছেই আপনি এমন অনেক কিছু পাবেন, যা ক্ষত সারিয়ে তুলতে সক্ষম। আসুন, শুনে নেওয়া যাক সেরকম কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা।
আরও শুনুন: ঋতুকালে ব্যথা কমাতে ওষুধ খান! বরং ভরসা থাকুক ঘরোয়া উপায়ে, যন্ত্রণা কমবে সহজেই
এইসব ক্ষেত্রে প্রাথমিক ফার্স্ট এইড হল কোল্ড কমপ্রেস। ফ্রিজ খুললেই বরফ তো পাবেনই। কিন্তু প্রথমেই বরফ দেবেন না। ক্ষতস্থানে সরাসরি বরফ দিলে রক্তচলাচল ব্যাহত হয়ে কোশের ক্ষতি হতে পারে। বরং ওই জায়গাটায় পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট ঠান্ডা জল দিন। কিংবা কিছুক্ষণ জল দেওয়ার পর পরিষ্কার কাপড়ে বরফ মুড়ে নিয়ে ক্ষতস্থানে ধরে থাকুন। জ্বালা কমে যাবে অনেকটাই। জল দেওয়ার পর ক্ষতস্থান সাবধানে পরিষ্কার করে তবেই মলম লাগাবেন।
আরও শুনুন: ঠান্ডা লেগে জ্বর-সর্দিতে কাবু হয়ে পড়েন! নিয়ম করে এই কাজগুলি করতে ভুলবেন না
রান্নাঘরেই পেয়ে যাবেন আরেকটি উপকারী জিনিস, মধু। মধু যে কোনও প্রদাহের উপশম করে। তার সঙ্গে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকায় ব্যাকটেরিয়াঘটিত কিছু সংক্রমণ রোধ করারও ক্ষমতা আছে এর। পরিষ্কার সুতির কাপড় এক চা-চামচ মধুতে ডুবিয়ে ক্ষতস্থানে আলতো করে লাগান। আর রান্নায় যে মশলাটি লাগেই, সেই হলুদও কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার কাজে আসতে পারে। মধুর উপরেই হলুদের গুঁড়োর প্রলেপ দিতে পারেন। সংক্রমণের ভয় থাকবে না।
ক্ষতস্থানের জ্বালা ভাব কমাতে পারে শসার একটি টুকরোও। এতে এমন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা যে কোনও প্রদাহকে কমাতে সাহায্য করে।
শুনে নিন বাকি অংশ।