সঙ্গমের আয়োজন সারা। তৈরি সঙ্গিনীও। অথচ গোড়াতেই গণ্ডগোল। সঙ্গমের আগে পুরুষাঙ্গ পর্যাপ্ত উত্থিত হচ্ছে না। লজ্জায় অনেক পুরুষই ব্যাপারটা নিয়ে আর কথা বলতে চান না। কিন্তু এ কি কেবল যৌনতা সংক্রান্ত অসুখ? নাকি নেপথ্যে থেকে গিয়েছে আরও বড় কোনও রোগ? আসুন শুনে নেওয়া যাক
সঙ্গমের সময় বা তার ঠিক আগে যৌনাঙ্গের উত্থান না হলে বেজায় বিপত্তিতে পড়েন পুরুষরা। স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে তেমন কথা বলতে চান না তাঁরা। মনে করেন, তাঁরা যে যৌন ভাবে তেমন সক্রিয় হতে পারছেন না, এ কথা আর কাউকে জানানো উচিত নয়। আর তাতেই ঘটছে মারাত্মক বিপদ। পুরুষাঙ্গের উত্থান না হওয়া বা ইরেকটাইল ডিসফাংশন যেমন যৌনতায় ব্যাঘাত ঘটায় তেমন এটি হৃদরোগেরও লক্ষণ হতে পারে।
আরও শুনুন: দিনে দিনে কমছে যৌন ইচ্ছা, হস্তমৈথুনের সময় এই ভুল করছেন না তো!
অবাক হওয়ার মতোই কথা বটে! সাধারণত যৌনতা বিষয়টির সঙ্গে গোপনীয়তা জড়িত। তাই গোপন কথাটি অনেকেই গোপনই রেখে দিতে চান। পুরুষাঙ্গের উত্থান না-হওয়ার ব্যাপারটিও তার ব্যতিক্রম নয়। ব্রিটেনে হাজার দুয়েক যৌনভাবে সক্রিয় ব্যক্তির মধ্যে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৪৬ শতাংশ ব্যক্তি এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে নারাজ। ৩৯ শতাংশ ব্যক্তি আবার নেট ঘেঁটেই সমস্যার সমাধান খুঁজেছেন। ২৬ শতাংশ মানুষ আরও বড় ঝুঁকি নিয়েছেন। তাঁরা প্রেসক্রিপশনের ধার না ধেরেই বাজারচলতি ট্যাবলেট খেয়ে পুরুষাঙ্গের শিথিলতা দূর করতে চেয়েছেন। অর্থাৎ বেশিরভাগ পুরুষই এই কথাটি কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান না। আর ৭৮ শতাংশ মানুষ জানেনই না যে পুরুষাঙ্গের উত্থান না হওয়া হৃদরোগেরও লক্ষণ হতে পারে।
আরও শুনুন: পুরুষরা জানেন তো! তৃপ্তির খোঁজে ঠিক কতক্ষণ যৌনতা চান মহিলারা?
আসলে বেশিরভাগ পুরুষ ধরে নেন যে, পুরুষাঙ্গের উত্থান না-হওয়া বয়সজনিত সমস্যা। এখনকার কর্মব্যস্ত দিনকালে সে-ধারণা অবশ্য অনেকটাই পালটেছে। কাজের চাপ অর্থাৎ মানসিক চাপের কারণেই এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করেন তাঁরা। তা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। অর্থাৎ এই কারণে পুরুষাঙ্গের দৃঢ়তাজনিত সমস্যা হতেই পারে। নিয়মিত যাঁরা এই সমস্যার মুখোমুখি হন তাঁদের মানসিক সমস্যার দিকে ঝুঁকে যাওয়ার প্রবণতাও বেশি। অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গেলেও এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও শুনুন: ৫০ জন পুরুষ ব্যর্থ! অথচ ৫ সেকেন্ডেই চূড়ান্ত যৌনসুখ পেলেন মহিলা, কী সেই ‘সিক্রেট’?
তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হৃদরোগের বিষয়টিও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁদের নিয়মিত পুরুষাঙ্গের উত্থান হচ্ছে না, তাঁরা এটিকে হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবেও ভাবতে পারেন। কেননা ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সঙ্গে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের যোগাযোগ আছে। অবহেলার কারণে সেই লক্ষণ অনেকেই চিনতে ভুল করেন। তাতে হিতে বিপরীত হয়। তবে লজ্জা সরিয়ে রেখে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বিষয়ে যদি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা যায়, তাহলে গোড়াতেই হৃদরোগ চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়াটি অন্তত শুরু করা যায়। তাই লজ্জা করে গোপন কথা চুপচাপ অন্ধকারে ফেলে না রাখাই ভাল। পুরুষাঙ্গের উত্থান না-হওয়ার নানারকম কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে হৃদরোগের সম্ভাবনাটিও যে অন্যতম এবং গুরুতর, তা মাথায় রাখাই শ্রেয়।