খাবার-দাবার হোক বা সবজি, যাবতীয় যা কিছু ফ্রিজে তুলে রাখা আমাদের অভ্যাস। এর কিছু ভাল দিক নিশ্চিতই আছে। সবকিছুই ফ্রেশ থাকে এতে। তবে, মুশকিল হল, কোনও খাবার আবার ফ্রিজে রাখলেও ততটা ফ্রেশ থাকে না। কী সেই খাবার বা সবজি? আসুন, জেনে নিই।
চটজলদি যা কাজে লাগে, বা বহুদিন ধরে দরকার পড়ে এরকম প্রায় সবকিছুই আমরা ফ্রিজে তুলে রাখি। শুধু বেঁচে যাওয়া খাবার-দাবার নয়, ফল, শাক-সবজি থেকে, মধু, চকোলেট বা ডিম – আমাদের ফ্রিজে কী না থাকে! কিন্তু এই সবগুলোই কি ফ্রিজে রাখা উচিত। সাধারণ অভ্যাসে আমরা তা করে থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছে, এমন কিছু জিনিস আছে, যেগুলি ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়।
আরও শুনুন: কেন তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
সেই খাবারগুলি কী কী? এক এক করে বলা যাক। প্রথমেই আসি মধুর কথায়। মধু সাধারণত বোতলবন্দি হয়ে দীর্ঘদিন ভালো থাকে। বাড়তি সতর্কতার জন্য তাকে ফ্রিজে তুলে রাখতে হবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আবার ধরা যাক, চকোলেটের কথা। সাধারণত চকোলেট যাতে গলে না যায়, সেই কারণে আমরা তা ফ্রিজে তুলে রাখি। কিন্তু এটাও করা উচিত নয়। বরং যাতে গলে না যায় তার জন্য কোনও ছায়াচ্ছন্ন জায়গায় রাখলেই চলবে। ডিম তো আমরা হামেশাই ফ্রিজে তুলে রাখি। কিন্তু এটাও না করাই ভালো। বরং কোনও শুকনো জায়গায় ডিম রাখলেই তা বহুদিন ভালো থাকে।
আরও শুনুন: করোনার Vaccine সারাতে পারে Cancer, আশ্চর্য তথ্য নয়া গবেষণায়
আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি সাধারণত কেউ ফ্রিজে রাখেন না। তবে, যদি কেউ রেখে থাকেন এবার থেকে সে অভ্যেস ছাড়ুন। তবু, অনেকেই আমরা টোম্যাটো ফ্রিজে রাখি। এটাও কিন্তু রাখা উচিত নয়। কেননা এতে টোম্যাটোর স্বাভাবিক ফ্লেভারটাই নষ্ট হয়ে যায়। আবার শশার যে খোসা তা কিন্তু ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না, ফলে কুঁচকে যায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। তাই শশাকেও ফ্রিজে না-রাখাই ভালো। একই কথা প্রযোজ্য ব্রেড বা পাঁউরুটির ক্ষেত্রেও। পাঁউরুটির নরম ভাব নষ্ট হয়ে যায় ফ্রিজে থাকলে। কলা আমরা ফ্রিজে রাখি। কিন্তু সেটা কাঁচা কলার জন্য উপযোগী। অন্যথায়, পাকা কলার ক্ষেত্রে দেখা যাবে তা দ্রুত কালো হয়ে যাচ্ছে। বরং হাওয়াবাতাস খেলে এমন জায়গায় রাখলে কলা ভালো থাকার সম্ভাবনা বেশি।
প্রতিদিনের কাজে, খাবারদাবারের একেবারে নিশ্চিত ঠিকানা হিসেবে আমরা ফ্রিজকেই গণ্য করি। তবে অভ্যাসের হাওয়ায় যে বদল আনতে হবে, অন্তত খাবার দাবার ভালো রাখার কারণে, সে তো বোঝাই যাচ্ছে।