বড় কাজে সাফল্য চাই-ই চাই। তার আগে অনেকেই মেতে ওঠেন যৌনতায়। অনেকেই আবার বলেন, এমন কাজ ভুল করেও করা উচিত নয়। আবার বড় ম্যাচের আগে অনেক তারকা খেলোয়াড়ই যৌনতায় রত হন বলে শোনা যায়! তাহলে সত্যিটা আসলে কী!
যৌনতা নিয়ে নানা ধারণার ছড়াছড়ি। তার মধ্যে কিছু ভুল ধারণাও থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় কোনও একটা ধারণার পক্ষে-বিপক্ষে দুই ক্ষেত্রেই যুক্তি আছে। সেরকমই একটা ধারণা হল, বড় কাজে নামার আগে যৌনতায় মাতা একেবারেই উচিত নয়। তাতে ক্লান্তি আসে। ফলে কাজ বানচাল হয়ে যায়।
আরও শুনুন: হু হু করে বিকোচ্ছে কন্ডোম! স্রেফ সঙ্গমের নেশা নাকি নেপথ্যে অন্য কারণে?
আবার অনেকে তো এই কথাও বলে থাকেন যে, ক্লান্তির কারণে যৌনতাই মাঠে মারা যায়। কর্মব্যস্ত দিনের চাপ যৌনতার আনন্দকে অনেকখানি নাকি কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা তাই পরামর্শ দেন, যদি ক্লান্তির আগেই যৌনতা সেরে নেওয়া যায়, তাহলে শরীর মন দুই-ই চনমনে থাকে। আর যৌনসুখেও ভাটা পড়ে না। সেই কারণেই অনেকে দিন শেষে রাতের যৌনতার বদলে সকালের যৌনতায় বাড়তি আনন্দ খুঁজে পান। অনেকসময়ই কানাঘুষো শনা যায় যে, বড় ম্যাচে নামার আগে তারকা খেলোয়াড়দের কেউ কেউ নাকি যৌনতায় মেতে ওঠেন। প্রশ্ন হচ্ছে, পারফর্মেন্সের আগে তাঁরাই বা এমন কাজ করবেন কেন, যদি তা শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে দুর্বল করে দেয়! আসলে এ নিয়ে দুই পক্ষেই কোনও না কোনও যুক্তি আছে।
আরও শুনুন: দিনে দিনে কমছে যৌন ইচ্ছা, হস্তমৈথুনের সময় এই ভুল করছেন না তো!
যাঁরা বড় কাজের আগে যৌনতা পছন্দ করেন না, তাঁদের যুক্তি যে যৌনতা না করলে টেস্টস্টেরনের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে সেই শক্তি পুরোটাই কাজে লাগে। যৌনতার কারণে ক্ষয় হয় না। তাতে যে কোনও পারফরমেন্সের মান ভাল হয়। তাঁরা আরও বলেন যে, যৌনতার কারণে পা ও হিপের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। মনোযোগের ব্যাঘাতও ঘটে।
আরও শুনুন: পুরুষরা জানেন তো! তৃপ্তির খোঁজে ঠিক কতক্ষণ যৌনতা চান মহিলারা?
অপরপক্ষের যুক্তি হল, বড় কাজের আগে যৌনতায় শরীর ও মন দুই শান্ত থাকে। টেস্টস্টেরনের মাত্রা কমে তো না, বরং যৌনতার ফলে বাড়ে। যা আখেরে লাভ বই ক্ষতি করে না। শরীরের পেশি দুর্বল হয় না, বরং অনেক নমনীয় বা রিল্যাক্সড হয়ে ওঠে। তা ছাড়া যৌনতার কারণে কোনও একটা বিষয়ে মনোযোগ অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরও শুনুন: ৫০ জন পুরুষ ব্যর্থ! অথচ ৫ সেকেন্ডেই চূড়ান্ত যৌনসুখ পেলেন মহিলা, কী সেই ‘সিক্রেট’?
অর্থাৎ বড় কাজের আর যৌনতার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি আছে। তবে দেখতে হবে, এক্ষেত্রে যৌনতা ঠিক কীরকম হচ্ছে। যদি বড় কাজে নামার ঠিক আগে কেউ যৌনতায় মেতে ওঠেন তাহলে শারীরিক ভাবে তার প্রভাব পড়তে পারে। আবার যদি কেউ দীর্ঘক্ষণ যৌনতায় মাতেন তারও প্রভাব আছে। কিন্তু বাড়াবাড়ি না করে সীমা বুঝে যদি যৌনতায় কেউ মেতে ওঠেন, তাহলে সেভাবে ক্ষতি হয় না। তবে সেক্ষেত্রে যৌনতা আর কাজে নামার আগে যথেষ্ট সময়ের ব্যবধান থাকা উচিত। যৌনতার পর যদি পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিতে পারেন কেউ, তাহলে আর পারফরমেন্সে ভাটা পড়ার সম্ভাবনা নেই। বরং পর্যাপ্ত যৌনতা একজনের এনার্জি বাড়িয়েই দেয়। যৌনতার দরুন শরীরে যে ফিল-গুড রাসায়নিকের প্রবাহ বাড়ে, তাতে কাজের প্রতি আনন্দ বাড়ে। ফলে নিয়ম মেনে সীমা বুঝে কেউ যদি যৌনতায় মেতে ওঠেন, তবে বড় কাজে সাফল্য তিনি পেতেই পারেন। বলা যায়, মাত্রাতিরিক্ত কিছু না করলে বা অনাচার না করলে যৌনতাই হয়ে উঠতে পারে সাফল্যের চাবিকাঠি।