বারবার সঙ্গী পাল্টাচ্ছেন। ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন তাদের সঙ্গে। এই সাময়িক আনন্দই কিন্তু ডেকে আনতে পারে চরম বিপর্যয়। হতে পারে ক্যান্সারও। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক বছরে ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে পড়েছে ক্যান্সার। এর জন্য দায়ি করা হচ্ছে বদলে যাওয়া লাইফস্টাইল, নিয়মিত ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান। কিন্তু সমীক্ষা বলছে অনিয়ন্ত্রিত য়ৌনজীবনও ডেকে আনতে পারে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি। ওরাল ক্যান্সারের কারণ হিসাবে আমরা ধূমপান বা তামাকজাত জিনিসকেই দায়ি করি। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন, ওরাল সেক্সও ওরাল ক্যান্সারের বড় কারণ। এই মত চিকিৎসকদের।
আরও শুনুন :মাছ-মাংসের বদলে কতটা পরিমাণ সয়াবিন মেটাতে পারে প্রোটিনের চাহিদা?
বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফ্রি সেক্স বা ঘনঘন সঙ্গী বদলানের অভ্যাস ডেকে আনছে বিপদ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সঙ্গম প্রক্রিয়ার প্রতি আকর্ষণও বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের মতো রোগ। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ধূমপায়ীর থেকেও ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত তরুণ-তরুণীর মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। গত দশ বছরে ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল অনিয়ন্ত্রিত যৌনজীবন। আমাদের দেশে সেক্স সম্পর্কে সঠিক শিক্ষার অভাব, কন্ডোমের যথাযথ ব্যবহার না জানার কুফল ডেকে আনছে ক্যান্সার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অল্প বয়সে মা হওয়া ও বারবার গর্ভপাত করানোর মত ঘটনা।
আরও শুনুন : শুধু মেদ ঝরাতে নয়, হাজারো সমস্যায় সাহায্য করে দারচিনি
এতদিন সবাই জানত অরক্ষিত যৌনজীবন ডেকে আনে এইডসের মতো মারাত্মক ব্যাধি। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসকদের মতে এর ফলে ক্যান্সারও হতে পারে। বিদেশে সেক্স এডুকেশন এই বিষয়ে ছোটবেলা থেকেই সতর্ক করে দেয়। কিন্তু ভারতে এখন এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়নি। আর এর ফল হচ্ছে মারাত্মক। মূলত যৌনসঙ্গম পরবর্তী দেহরসের মাধ্যমে সংক্রমণ এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ে। তাই একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। আমদের দেশে মহিলাদের মধ্যে জরায়মুখ বা সারভাইকাল ক্যান্সার হয় সবথেকে বেশি। এই রোগের প্রকোপ এখন অল্প বয়সি মেয়েদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। সারভাইকাল ক্যান্সারের আসল কারণ হল হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। পুরুষদের থেকেই এই ভাইরাস মেয়েদের শরীরে প্রবেশ করে। একাধিক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কারণেই এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
বাকিটা শুনে নিন প্লে বাটন ক্লিক করে।