চুইং গাম খেতে ভালোবাসেন? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। এই অভ্যাসেই কমবে ওজন। গবেষকদের দাবি, দীর্ঘক্ষণ চুইং গাম চিবানো মোটেও খারাপ নয়। বরং শরীরের কিছু বিশেষ উপকার করে এই অভ্যাস। ঠিক কী উপকার মিলতে পারে এই অভ্যাসের জেরে? আসুন শুনে নিই।
নেকেই মনে করেন সবসময় চুইং গাম চিবানো বদভ্যাস। তাঁদের ধারণা এ খানিক নেশার মতো। কিন্তু গবেষণা বলছে আদৌ তা নয়। বরং চুইং গাম চিবানোর অভ্যাস শরীরের নানা উপকার করতে পারে।
আরও শুনুন: চোখে দেখাই ‘পাপ’! ৮২ বছরের জীবনে নারীদের দেখেননি এই ব্যক্তি, কে ইনি?
প্রথমেই বলতে হয় ওজন কমার কথা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চুইং গাম চিবানোর অভ্যাস মুখের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত কেউ যদি শরীর চর্চা করার সময় মুখে চুইং গাম রাখেন তাহলে আরও দ্রুত ওজন ঝরার আশা থাকে। এক ঘন্টা চুইংগাম চিবালে প্রায় ১০ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। যা কয়েক পাক দৌড়ানোর সমতুল্য। তবে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে মুখের পেশিতে। দীর্ঘক্ষণ চোয়ালের ওঠানামা শক্ত করে মাড়িও। একইসঙ্গে স্পষ্ট হয় জ-লাইন। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয় এই স্পষ্ট জ-লাইনের বিষয়টিকে। যার জন্য দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা করেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। কিন্তু গবেষকদের দাবি, চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস থাকলে সহজেই মুখের এই বিশেষ গঠন লাভ করা সম্ভব। এরপর বলতে মানসিক চাপ কমানোর প্রসঙ্গটি। মানসিক চাপ কমাতে চুইংগামের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চুইংগাম চেবানোর সময় মুখের নার্ভে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যার প্রভাবে স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমে। এই অভ্যাসে উপকার হয় দাঁতেরও। মাড়ি শক্ত করার পাশাপাশি দাঁত পরিস্কার রাখতেও সাহায্য করে চুইংগাম। খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে কিছু আটকে থাকলে তা চুইংগাম চিবানোর সময় বেরিয়ে আসতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বাজার চলতি সব ধরনের ছুইংগাম খেলেই যে এই উপকার মিলবে তা নয়। বিশেষ কিছু চুইংগাম যার মধ্যে চিনির পরিমাণ যথেষ্ট কম, তা খেলেই মিলবে আসল ফল।
আরও শুনুন: ছোট্ট ভুলে বড় বিপত্তি! অর্ডারের গড়বড়ে বাড়িতে হাজির কন্ডোমের প্যাকেট, বেজায় বিপাকে ব্যক্তি
এখানেই শেষ নয়। চুইংগাম হজমের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চুইংগাম চেবানোর সময় মুখে থুতুর পরিমাণ বাড়ে। যার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উৎসেচক আগে খাবার হজমে বিশেষ সাহায্য করে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমতে পারে। এই অভ্যাস মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়াতেও বিশেষ সাহয্য করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এমনিতেই শরীরচর্চা করলে হার্টরেট বাড়ে। যার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রাও বেশি থাকে। চুইংগাম খাওয়ার সময় কিছুটা হলেও শরীরচর্চার মতোই কাজ হয়। এ প্রসঙ্গেই গবেষকরা মনে করছেন চুইংগাম খাওয়ার ফলে মস্তিষ্ক বেশ সক্রিয় থাকে। তাই অঙ্ক করার সময় বা মাথা সক্রিয় থাকবে এমন কাজ করার সময় চুইংগাম চিবানোর পরামর্শ দেন তাঁরা।