পঙ্কজ ত্রিপাঠী। এই একটা নামেই উৎসুক হয়ে ওঠে দর্শক। সিনেমায় তিনি থাকা মানেই সিনেপ্রেমীর নতুন কিছু পাওনা। সেই তিনিই নাকি ফ্যান পছন্দ করেন না। কিন্তু কেন জানেন? আসুন, শুনে নিই।
তাঁর ফ্যানের সংখ্যা অগণন। এই সেদিনও তাঁকে দেখা যেত ছোটখাটো কোনও চরিত্রে। ফ্যানবেস সেভাবে কি তৈরি হয়েছিল। বলা যায় না! তবে, যাঁর প্রতিভা এমন আকাশছোঁয়া, মানুষের নজরে পড়তে তাঁর বেশি সময় লাগে না। আর তাই মায়ানগরীতে যত সময় গড়িয়েছে তত ফ্যানের সংখ্যা বেড়েছে তাঁর। এখন সংখ্যাটা এমনই যে, যে কোনও মেইনস্ট্রিমের নায়ককে তিনি টেক্কা দিতে পারেন অনায়াসে।
আরও শুনুন: খাবারের প্লেট ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন উত্তমকুমার, ভোলেননি অনিল চট্টোপাধ্যায়
হ্যাঁ, আমরা যাঁর কথা বলছি, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
বলিপাড়ায় বদলেছে নায়কের সংজ্ঞা। বদলেছে নায়কের চরিত্রও। চরিত্রাভিনেতাই এখন হয়ে উঠেছেন নায়ক। এই বদলানো সময়ে হিন্দি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের একচ্ছত্র নায়ক হয়ে উঠেছেন তিনিই। প্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর ফ্যানের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু এই ফ্যান কথাটা তেমন পছন্দ নয় পঙ্কজের। কথাটার মধ্যে খানিক দূরত্ব আছে বলেই মনে করেন তিনি। বরং এর বদলে তিনি যে কথাটা বলতে ভালোবাসেন তা হল, যাঁরা ভালোবাসেন। এর মধ্যে যে ব্যক্তিগত ছোঁয়া থাকে, যে ঘনিষ্ঠতা থাকে, নৈকট্য থাকে, তা তথাকথিত ফ্যান শব্দের ভিতর খুঁজে পান না পঙ্কজ। কেন যে তিনি বাকিদের থেকে আলাদা, তা তাঁর এই দর্শনেই স্পষ্ট।
আরও শুনুন: ‘বিনিসুতোয়’ গাঁথা গল্প আর জীবনের সংলাপে মুগ্ধ Cineপিসি
গত বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা কারণে সময়টা বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। অসুখ-বিসুখ, ভাইরাসের ভয়ে মানুষের প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত। এরকম কঠিন সময়ে তিনি যে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন, এটাই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।
এই মুহূর্তে তাঁর হাতে কাজের শেষ নেই। নানা ধরনের চিত্রনাট্য পাচ্ছেন তিনি, যা তাঁর বয়সের সঙ্গে মানানসই। তাতে বেশ খুশি অভিনেতা। তাঁকে ভেবে চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে, এ তো বড় কম কথা নয়। আর বেশ কিছু সিগনেচার স্টাইল তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। এখন কেউ যখন নতুন কাজ নিয়ে আসেন, তখন চিত্রনাট্যে উল্লেখ থাকে সেই সিগনেচারের কথা। অভিনেতা হিসেবে যা তাঁর কাছে বেশ তৃপ্তির।
এইসব ব্যস্ততার ভিতরই এসে পড়েছে জন্মদিন। এ বছর এই সেপ্টেম্বরের পাঁচে পঁয়তাল্লিশে পা দিলেন অভিনেতা। আর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁর অগণিত ফ্যানেরা, থুড়ি, যাঁরা তাঁকে ভালোবাসেন তাঁরা।