বোকাবাক্স ছেড়ে পৃথিবীটা এখন ঢুকে পড়েছে মোবাইল ফোনের ভিতর। আর সেখানে পাশাপাশি বাস একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের। আসছে একের পর এক ওয়েব সিরিজ। কিন্তু তাতে বাংলার নিজস্ব স্বাদ কি পাওয়া যাচ্ছিল? দর্শকমাত্রই জানেন, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো ছাড়া উপায় ছিল না। সেই আক্ষেপ দূর করে দিলেন পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্য। তাঁর ‘বিরহী’, মাত্র দুই পর্বেই উঠে এসেছে সকলের চর্চায়।
খুব বেশিদিন নয়, সিনেমাপ্রেমী দর্শকের অভিধানে এখন নতুন শব্দ ঢুকে পড়েছে – ওয়েব সিরিজ। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে হাজির একের পর এক ওয়েব সিরিজ। হরর স্টোরি, মার্ডার মিস্ট্রি, ক্রাইম থ্রিলার, মাইথোলজিক্যাল চাটনি – কী নেই সেখানে! সিনেমার মায়া সেখানে থাকে না। নেই সিনেমার গভীরতাও। তবে আছে চুম্বক আকর্ষণ। একটার পর একটা পর্বে, কখনও এক সিজন থেকে আর-এক সিজনে পৌঁছে যাওয়ার দুর্নিবার আকর্ষণ। এরই মধ্যে পৃথিবীতে এসেছে করোনা ভাইরাস, তারই হাত ধরাধরি করে এসেছে লকডাউন। বড় পর্দার মুখোমুখি হওয়া আচমকা বন্ধ হয়ে গেল। সেই সময় দর্শকের মগজের দখল নিল ওয়েব সিরিজ। তা ভালো কি মন্দ, সে তর্ক আলাদা। সে আলোচনার মধ্যে যাচ্ছিও না। কিন্তু বাঙালি দর্শক কি সেইসব ওয়েব সিরিজের সঙ্গে নিজেদের তেমন একাত্ম ভাবতে পারছিল?
আরও শুনুন: স্টেজে গান গাইতে বেজায় ভয় কিশোর কুমারের! কী করে তা কাটল জানেন?
এই প্রশ্নটা ক্রমশই পাক খাচ্ছিল। কিন্তু উত্তর মিলছিল না। বাংলা ভাষাতেও যে ওয়েব সিরিজ তৈরি হচ্ছিল, তা যে কোনও কারণেই হোক না কেন, ঠিক নিজস্ব ভাষা খুঁজে পাচ্ছিল, এমনটা বলা যায় না।
অবশেষে যেন তৃষ্ণার জল হয়ে এল প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্যের ‘বিরহী’।
আরও শুনুন: ‘ধর্মীয় বিভাজন নিয়ে আমরা বেশি মাথা ঘামাই’, কেন এ কথা বললেন কঙ্কনা সেনশর্মা?
এখনও পর্যন্ত তার মাত্র দুটি পর্বই প্রকাশিত হয়েছে। সেই চুম্বক আকর্ষণ। সেই দুর্নিবার হাতছানি – সবই মজুত। তবে, যা জোর দিয়ে বলা যায়, তা হল, এ একেবারেই বাংলার নিজস্ব ওয়েব সিরিজ। বিষয়, শৈলী, আবহ মিলিয়েই বাংলা ভাষার নিজস্ব ওয়েব সিরিজের ভাষা নির্মাণ হচ্ছে পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্যের হাতে। বাংলার গ্রাম, গ্রামজীবনের বাস্তবতা, রাজনীতির আভাস, প্রেম-বিরহ-ব্যর্থতা, যৌন হতাশা, এমনকী গালাগালি – প্রদীপ্তর নির্মাণ যেন চেনাচ্ছে, বাংলার ওয়েব সিরিজ ঠিক কেমন হওয়া উচিত।…
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।