নয়না ঠগ লেঙ্গে… ঠগ লেঙ্গে… ‘ওমকারা’ ছবির এই গানটি, সেরা রোম্যান্টিক গানের তালিকায় নিশ্চিতই জায়গা করে নেবে। কিন্তু পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ জানাচ্ছেন, রিলিজের কিছুদিন আগে পর্যন্ত গানটা ছবিতে ছিলই না। তাহলে এল কীভাবে? আসুন শুনে নিই সেই নেপথ্যের গল্প।
গুলজার-বিশাল ভরদ্বাজ জুটিতে যে সব স্মরণীয় গান পেয়েছে হিন্দি ছবির দুনিয়া, তার মধ্যে একেবারে উপরের সারিতেই থাকবে ‘নয়না ঠগ লেঙ্গে’। ‘ওমকারা’ ছবিতে সে গান গেয়েছিলেন রাহাত ফতে আলি খান। কিন্তু গানটি নাকি ছিলই না পরিচালকের পরিকল্পনায়। প্রযোজক জোরাজুরি না করলে হয়তো এরকম রোম্যান্টিক একটি গান পাওয়াই যেত না।
আরও শুনুন: মাসে কত উপার্জন করেন? ফ্যানের প্রশ্নে প্রকাশ্যে সত্যিটা বলেই দিলেন শাহরুখ
সম্প্রতি একটি গানের রিয়ালিটি শোয়ে এসে সেই নেপথ্যের গল্প শুনিয়েছেন পরিচালক স্বয়ং। শুধু ছবির পরিচালনা নয়, ‘ওমকারা’ ছবির সংগীত পরিচালনাও করেছিলেন বিশাল ভরদ্বাজ। মুক্তির কিছুদিন আগের কথা। ছবিতে তখনও রোম্যান্টিক গান বলতে একটিই- ‘ও সাথী রে’। হঠাৎ আর একটি গানের আবদার করলেন প্রযোজক কুমার মঙ্গত পাঠক। প্রথমে তো বিশাল ভরদ্বাজ তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু প্রযোজকের মন যেন কিছুতেই ওঠে না। আর একটা গান তাঁর চাই-ই চাই। এদিকে ছবি মুক্তির সময়ও এগিয়ে আসছে। অগত্যা গুলজারের শরণাপন্ন হলেন বিশাল। তিনি একটি লাইন দিলেন- নয়না ঠগ লেঙ্গে। এই লাইনের উপর ভর করেই গানটা তৈরি করতে বললেন বিশালকে, পরে বাকি কথা লিখবেন বলে জানালেন। সেইমতো গান তৈরিও করে ফেললেন বিশাল। তাঁর সহকারীদের বলে রেখেছিলেন, প্রযোজককে যখন শোনানো হবে, তখন সকলেই যেন বলেন, গানটা বেশ হয়েছে। কথামতো কুমার মঙ্গত যখন গানটা শুনতে বসলেন, তখন গান শেষে সহকারীরা এক বাক্যে বললেন, অসাধারণ হয়েছে গানটি। সকলেই গানের ব্যাপারে একমত দেখে প্রযোজক আর দ্বিধা করেননি। এই গানটিই ছবিতে রাখার ব্যাপারে সায় দিলেন। সেই থেকে গেল গানটি। আর কালক্রমে যা হয়ে উঠল হিন্দি সিনেমার গানের দুনিয়ার অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক গান।
আরও শুনুন: বেজায় অ্যালার্জি, তাই পোশাক পরা দায়! খোলামেলা থাকার সাফাই উরফির
প্রযোজকের জোরাজুরিতে অনেক সময়ই বিপদে পড়ে যান পরিচালকরা। তবে সে পরিচালকের নাম যদি বিশাল ভরদ্বাজ হয়, তবে বোধহয় প্রযোজকের জোরাজুরি শাপে বর। কে জানে, সেদিন কুমার মঙ্গত জোর না করলে, এমন একটা মাস্টারপিসই শ্রোতারা পেতেন কিনা!