একের পর এক রেকর্ড গড়তে গড়তে এবার ১০০০ কোটির ক্লাবে পা রেখেছে শাহরুখ অভিনীত ‘পাঠান’। সেই নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই ফ্যানদের মধ্যে। বয়কটের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে, ‘পাঠানের’ এই জয়ে খুশি সিনেপ্রেমীরাও। তবু চারটি বিখ্যাত ভারতীয় সিনেমাকে এখনও টেক্কা দিতে পারেনি ‘পাঠান’। জানেন কি, কোন কোন সিনেমা রয়েছে সেই তালিকায়? আসুন, শুনে নিই।
১০০০ কোটির ক্লাব! বিদেশি সিনেমার ক্ষেত্রে এই ক্লাবে যাতায়াত যতটা সহজ, ভারতীয় সিনেমাগুলির ক্ষেত্রে তা আদৌ নয়। তবু এই ক্লাবে পা রাখার সাহস দেখিয়েছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সিনেমা। সম্প্রতি সেখানে পা রেখেছে শাহরুখ খানের পাঠান-ও। বিশ্বজুড়ে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলে নজির গড়েছে কিং খানের এই নয়া সিনেমা। কিন্তু দেশের একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমাকে ছাপিয়ে গেলেও, এই তালিকায় এখনও একটু পিছিয়ে রয়েছে ‘পাঠান’। হাজার কোটির ক্লাবে পাঠানের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে দেশের আরও ৪টি সিনেমা।
আরও শুনুন: শরীরী ভাষায় শরীরের স্বাধীনতা… বডিশেমিং-এর সপাট জবাব দিয়েছেন এই অভিনেত্রীরা
সাল-তারিখের হিসাব বলছে শাহরুখের বয়স প্রায় ষাটের কাছাকাছি। এই বয়সে ক-জন অভিনেতা সম্পূর্ণ ভোল বদলে, এমন একটা স্টাড লুকে পর্দায় আসার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস পাবেন? কিন্তু তিনি যে বলিউডের বেতাজ বাদশা, আর না জানি কত লক্ষ কোটি মনেরও! তাই পারলে তিনিই পারেন। লক্ষ কোটি মানুষের মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা তাঁকে হারতে দেয় না। ‘শাহরুখ খান অ্যাজ পাঠান’– স্ক্রিনে এই লেখাটা আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাই সিনেমা হল হাততালি-সিটি-চিৎকারে ফেটে পড়ে। এই বয়সে এসেও তাই তিনিই সেই ‘স্টাড পাঠান’। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন জন আব্রাহাম। রয়েছেন দীপিকার মতো দুর্ধর্ষ অভিনেত্রীও। সব মিলিয়ে মাত্র এক মাসেরও কম সময়ে পাঠান পা রেখেছে হাজার কোটির ক্লাবে। তবে এখনই যে পাঠানকে দৌড় থামালে চলবে না, সে কথাই বুঝিয়ে দিয়েছে ওই তালিকায় থাকা আরও ৪ সিনেমা।
ওই ৪ সিনেমার মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় আমির খানের ‘দঙ্গল’-এর। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা দেখিয়েছিল এক কুস্তিবীর ও তাঁর মেয়েদের কাহিনি। কীভাবে নিজের অধরা স্বপ্ন নিজের মেয়েদের মধ্যে দিয়ে পূরণ করেছিলেন এক বাবা, এই সিনেমা দেখিয়েছিল সেই গল্পই। সিনেমার গল্প থেকে আরম্ভ করে নির্মাণ, সব কিছুতেই বাজিমাত করেছিল ‘দঙ্গল’। আন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সিনেমার বিশ্বব্যাপী আয় ২১১২ কোটি টাকা। যা পাঠান-এর আয়ের প্রায় দ্বিগুণ।
আরও শুনুন: শরীরে পোশাক প্রায় নেই, অনেকের সামনেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়, কী অভিজ্ঞতা ভূমির?
এরপরই আসে ‘বাহুবলী’ সিনেমার কথা। দক্ষিণের এই সিনেমা নিয়ে সারা দেশে নেহাতই কম হইচই হয়নি। দুটি ভাগে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। যার মধ্যে দ্বিতীয় ভাগটি ব্যবসায়িক দিক দিয়ে বেশি সফল হয়েছে। এই সিনেমাটির বিশ্বব্যাপী আয় ১৮১১ কোটি টাকা। তালিকায় এরপর রয়েছে দক্ষিণ ভারতেরই আরও দুটি সিনেমা। যার মধ্যে একটি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও পেয়েছে। ঠিকই ধরেছেন, কথা বলছি ‘আরআরআর’ সিনেমাটিকে নিয়েই। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পটভূমিকায় তৈরি এই সিনেমার একটি গান আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে। ব্যবসার দিক দিয়েও এই ছবিটি বেশ সফল। এর বিশ্বব্যাপী আয় ১২১৭ কোটি টাকা। আর অন্য সিনেমাটি হল ‘কেজিএফ’। এই সিনেমারও দুটি ভাগ। ‘বাহুবলী’র মতোই, ব্যবসায়িক দিক দিয়ে বেশি সফল এই সিনেমাটিরও দ্বিতীয় অংশ। কেজিএফ পার্ট টু বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ১১৯৮ কোটি টাকা।
তবে এই সব সিনেমাই প্রায় এক বছর আগে মুক্তি পেয়েছে। তাই পাঠান-কেও আরও কিছুটা সময় তো দেওয়া যেতেই পারে। তারপর এই তালিকা বদলাবে কি না, তা বলবে সময়ই।