প্রথম পাতে ‘পোস্ত’, তার পর ধোঁয়া ওঠা ভাতে ‘মাছের ঝোল’, আর শেষ পাতে ‘রসগোল্লা’। চাইলে একটু ‘কুলের আচার’-ও মিলতে পারে। কী ভাবছেন? দুপুরের ভূরিভোজের মেনু নিয়ে কথা বলছি? মোটেই না। মনপসন্দ খানার সঙ্গে সঙ্গে যে জিনিসটা না হলেই বাঙালির একেবারেই চলে না, তা হল মনপসন্দ সিনেমা। আর ইদানীং যেন সিনেমাতেও সেই রসনারই খোঁজ করছেন দর্শক। শুধু বাংলা কেন, কম যায় না হিন্দি সিনেমাও। আসুন তবে চেখে দেখা যাক থুড়ি শুনে নেওয়া যাক, তেমনই কিছু ছবির নাম, যার সারবস্তুতে খাবারদাবার না থাকলেও, নামে রয়েছে লোভনীয় সব খাবারদাবারের উল্লেখ।
পাতে মুখরোচক খাবারদাবার তো আছেই। তার সঙ্গে আছে সিনেমাতেও। আর সেসব নামেই আজকের ছবি দেদার হিট বক্সঅফিসে। শুধু বাংলা সিনেমা নয়, হিন্দি থেকে ইংরেজি, সমস্ত মাধ্যমেই মিলবে এমন নানাবিধ সিনেমা। তার মধ্যে কিছু ছবিতে খানাপিনার প্রসঙ্গ থাকলেও, এমন ছবিও রয়েছে, যার সঙ্গে সেই খাবারদাবারটির সম্পর্ক একেবারেই নেই।
আসুন, প্রথমে শোনা যাক বাংলার তেমন কিছু সিনেমার কথা। সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ‘রসগোল্লা’। যেটি আসলে একটি বায়োপিক। নবীন চন্দ্র দাসের জীবনের উপর তৈরি এই ছবি দেখতে হলে উপচে পড়েছিল দর্শক। ‘মাছের ঝোল’ ছবিটির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনীত সেই ছবিতে বাঙালির প্রিয় মাছের ঝোলের কিন্তু বেশ বড় একটা ভূমিকা ছিল। মনে করা যায় ‘মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর’ নামক সিনেমাটির কথা। এই সবকটি সিনেমাতেই খাবারের নাম হয়ে উঠেছিল ছবির বিষয়ও।
আরও শুনুন: বলিপাড়ায় গোলাগুলি! মাফিয়াদের বন্দুকের মুখে পড়েছেন যে তারকারা
উল্টোটাও অবশ্য আছে। যেখানে খাবারের নাম থাকলেও গল্পে একেবারেই ছিল না সেই খাবারের প্রসঙ্গ। যেমন ধরুন না ‘পোস্ত’ সিনেমাটির কথাই। আলুপোস্ত বা পোস্তের বড়া নয়, পোস্ত সেখানে খুদে একটি ছেলে। তেমনই বলা যায়, ‘চিনি’ কিংবা ‘টনিক’-এর মতো সিনেমার কথা। যেখানে খাবারের নাম আসলে হয়ে উঠেছে চরিত্রদের নাম। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে দেব-রুক্মিনী অভিনীত কিশমিশ। ঠিক সেই ধাঁচেই সম্পর্কের টক-ঝাল-মিষ্টি গল্প বলতে আসছে ‘কুলের আচার’ নামে একটি ছবি। ‘চিনে বাদাম’ নামে একটি ছবিরও মুক্তি আসন্ন। ফলে বুঝতেই পারছেন, বাংলা সিনেমা আর শুধু দেখার মধ্যে আটকে নেই, বিষয়টা আজকাল রীতিমতো চেখে দেখারও।
আরও শুনুন: স্তন ছোট বলেই বাদ পড়েছেন সিনেমা থেকে, বলিপাড়ার গুপ্তকথা ফাঁস করলেন রাধিকা
তবে সেই দৌড়ে পিছিয়ে নেই হিন্দি ছবিও। ‘বরফি’ হোক বা ‘বরেলি কি বরফি’, খাবারের নাম শাসন করেছে বলিউডকেও। ‘গরম মশালা’ নামক সেই মশলা মুভিটির কথা ভোলেননি নিশ্চয়ই। আর সেই ছবিটি দেখে থাকলে নামকরণের সার্থকতা বোঝাটাও তেমন কঠিন কিছু নয়। ‘চকলেট’ থেকে ‘ককটেল’, ‘আলুচাট’ থেকে ‘খিচড়ি’, ‘স্যান্ডউইচ’ থেকে ‘জলেবি’ কী নেই বলিউডে। না, এগুলো শুধু খাবারের নাম নয় মোটেই। এই সবকটিই বলিউডের বেশ চেনা কয়েকটি ছবির নাম। যা সাড়া ফেলেছিল বক্স অফিসেও। বেশিরভাগ সিনেমার সঙ্গেই খাবারের তেমন সম্পর্ক নেই বটে। তবে রূপকের সম্পর্ক যে আছে, তা হলফ করেই বলা যায়।
পেট ভরাতে তবে আর শুধু হোটলে ছুটবেন কেন? বরং পর্দায় চোখ রেখেই একদিন সেরে ফেলুন প্রাতঃরাশ থেকে নৈশভোজ সবটাই। সঙ্গে বিনোদন ভরপুর ফ্রি।