‘জওয়ান’ সিনেমায় সরাসরি না হলেও, রাজনীতিকদের বিশেষ বার্তা দেন শাহরুখ। বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে চর্চাও হয়। তবে এর বহু আগে সত্যিকারের রাজনীতিকদেরও রাজনীতির পাঠ শিখিয়েছিলেন কিং খান। তাঁর কথা মন দিয়ে শুনেছিলেন রাহুল গান্ধী, মনমোহনের মতো রাজনীতিকরা। ঠিক কী কী বলেছিলেন শাহরুখ? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দুজনের কর্মজগতে কোনও মিল নেই। একজন নেতা, অন্যজন অভিনেতা। তাও শাহরুখের কাছেই রাজনীতির পাঠ নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। স্রেফ তিনি একা নন। কিং খানের পরামর্শ মন দিয়ে শুনেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-ও। দেশের প্রথম সারির নেতাদের সামনে রাজনীতিকদের কোন পথে চলা উচিত, তা বুঝিয়েছিলেন শাহরুখ খান।
আরও শুনুন:
এক সময় খাবার জুটত না, টাকা পাঠাতেন সলমন, তাতেই দিন কাটাতেন ‘শাহরুখ’!
লোকসভায় জোড়া আসনে জিতে সংসদে ফিরেই চোখা বক্তৃতায় ঝড় তুলেছেন রাহুল গান্ধী। মণিপুর থেকে মানবধর্ম, একাধিক ইস্যুতে বিঁধেছেন শাসক দল বিজেপিকে। অথচ একসময় তাঁকে স্রেফ ‘পাপ্পু’ বলে স্রেফ উড়িয়ে দিত বিজেপি। কোনওভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে দাঁড়ানোর যোগ্যতা নেই রাহুলের, এমনই ধারণা ছিল শাসক শিবিরের। নিজগুণে তা ভুল প্রমাণ করেছেন রাহুল। লোকসভায় জোড়া আসন জয় থেকে সংসদে বক্তৃতা, সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে কথা বলছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি। কংগ্রেস নেতার এই উত্তরণে কি কোনওভাবে শাহরুখ খানের হাত রয়েছে? ভাইরাল এক ভিডিও দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কারণ সেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, রাহুলকে রাজনীতির পাঠ দিচ্ছেন শাহরুখ খান।
‘পঞ্চায়েতে’ জামাই আদরের ঢল, অথচ সেফ-করিনার পার্টিতে বাসন মাজতে হয় ‘দামাদজি’কে
অভিনেতাদের রাজনীতি যোগ নতুন কিছু নয়। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে, অভিনয় জগত ছেড়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন পরিচিত মুখেরা। তবে শাহরুখ খান ব্যতিক্রম। অভিনয় জগতে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছালেও সক্রিয়ভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি কিং খানকে। আবার জনসমক্ষে কোনও নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষেও সুর চড়াননি শাহরুখ। তাই বলে রাজনীতির সম্পর্কে শাহরুখের যে কোনও ধারণা নেই এমনটা ভাবা ভুল। ভাইরাল ভিডিওটি যে বেশ পুরনো তা সেখানে উপস্থিত চরিত্রদের বয়স দেখেই আন্দজ করা যায়। অন্তত ১০-১২ বছর আগেকার এই ভিডিওতে মনমোহন সিং থেকে রাহুল গান্ধী সকলেই রয়েছেন। কোনও এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন এক রাজনীতিকরা। আর শাহরুখকে দেখা গিয়েছে মাইক হাতে, সম্ভবত সঞ্চালকের ভূমিকায়। সেখানেই রাহুল প্রশ্ন করেন, রাজনীতিকদের কোনও পরামর্শ দিতে হলে শাহরুখ কী বলবেন? উত্তরে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই কৌতুক করেন কিং খান। তারপরই অবশ্য বলেন, রাজনীতিকদের সবসময় বিশেষ শ্রদ্ধার চোখেই দেখেন শাহরুখ। তাঁর কথায়, দেশের জন্য এঁরা যেভাবে নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেন, তা কুর্নিশ জানানো উচিত। তবে রাজনীতিকদেরও সবসময় সৎ পথে থাকার কথা বলেন কিং খান। তাঁরা যদি দেশকে ভালোবাসেন তাহলেই উন্নতি সম্ভব। দেশের জন্য প্রত্যেকের গর্ব অনুভব করা উচিত। তাহলেই সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে দেশ। তবে কারও নাম না করে ঘুষের প্রসঙ্গও তোলেন শাহরুখ। কোনও রাজনীতিক যদি অসৎ পথে এই ধরনে কাজকে প্রশ্রয় দেন, তাহলে ক্ষতি আসলে দেশের। তাই এই ধরনের কাজ থেকেও সকলকে বিরত থাকারও পরামর্শ দেন শাহরুখ। সব শেষে তাঁর দাবি, রাজনীতিকরা যদি বাস্তববাদী হন এবং কোনওভাবে সততার সঙ্গ না ছাড়েন তাহলে দেশের উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না।