লকডাউনের সময় অনেকেই চরম অর্থকষ্টে দিন কাটিয়েছেন। বিশেষ করে ছোটখাটো ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের জন্য এই সময়টা বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু শাহরুখের মতো তারকা লকডাউনে অর্থকষ্টে ভুগছেন আর তাঁকে সাহায্য করছেন সলমন খান, এমনটা কখনও হতে পারে? ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
করোনা অতিমারি গোটা বিশ্বকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। কঠিন সময় অনেকে যেমন নিজেদের স্বার্থটা দেখেছেন, অনেকেই তেমন নিজের সবটুকু দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। তালিকায় সবার উপরে হয়তো সোনু সুদের নাম থাকবে। লকডাউনের সময় গরীবদের মসিহা হয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেতা। তবে স্রেফ সোনু নন। বলিউডের আরও অনেকেই লকডাউনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সলমন খান অন্যতম। কিন্তু ভাইজান নাকি লকডাউনে শাহরুখকেও অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছিলেন! সম্প্রতি এই খবরেই শোরগোল নেটদুনিয়ায়।
কিন্তু সত্যিই কি এমনটা হয়েছিল?
আরও শুনুন: হৃদয়ের রাজা! কর্মচারীর খোঁজ নিতে রাতের আঁধারে বস্তিতে যেতেন শাহরুখ
একেবারেই নয়। আবার এই তথ্য পুরোপুরি মিথ্যে বলাও যায় না। কারণ লকডাউনে শাহরুখ খানের বডি ডাবল রিজওয়ান খানকে সাহায্য করেছিলেন ভাইজান। এই ব্যক্তি হুবহু শাহরুখের মতো দেখতে। কিং খানের সঙ্গে বহু সিনেমায় কাজও করেছেন তিনি। অধিকাংশ অভিনেতারই বডি ডাবল থাকে। অ্যাকশন দৃশ্য বা দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয়ের সময় এঁরা ক্যামেরার সামনে আসেন। এমনিতেই দেখতে অভিনেতার মতো, তার ওপর মেক- আপের জাদুতে চেনার উপায় থাকে না, দুজন আলাদা। রিজওয়ানও নিজেকে এমনভাবেই সাজিয়ে রাখেন সবসময় যে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি শাহরুখ নন। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শোয়ের জন্য ডাক পান রিজওয়ান। সবার তো আর শাহরুখকে নিয়ে আসার ক্ষমতা নেই, তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো রিজওয়ানকে ডাক পাঠান তাঁরা। কিন্তু লকডাউনের সময় সেসব একেব্রে বন্ধ হয়েছিল। সিনেমার শ্যুটিং-ও হত না বললেই চলে। কাজেই এইসময় দুবেলা ঠিকমতো খাবারই যোগাড় করতে পারতেন না রিজওয়ান। স্রেফ তিনি একে নন, এই অবস্থা হয়েছিল তাঁর মতো আরও অনেকের। অর্থাৎ যারা বিভিন্ন সেলেব্রিটির লুক এলাইক হিসেবে কাজ করেই নিজেদের পেট চালান, তাঁদের অবস্থা লকডাউনে শোচনীয় হয়েছিল।
আরও শুনুন: ‘পঞ্চায়েতে’ জামাই আদরের ঢল, অথচ সেফ-করিনার পার্টিতে বাসন মাজতে হয় ‘দামাদজি’কে
এইসময় তাঁদের মসিহা হিসেবে ধরা দেন সলমন খান। রিজওয়ান সহ সমস্ত শিল্পীদের টাকা পাঠান সলমন। সেইসঙ্গে রেশন হিসেবে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীও পাঠান। যা ব্যবহার করে লকডাউনের ভয়ঙ্কর সময়টুকু কাটিয়ে ফেলেন রিজওয়ানরা। ধীরে ধীরে পৃথিবীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কাজে ফিরেছেন রিজওয়ানরা। রোজগারও শুরু করেছেন আগের মতোই। কিন্তু সলমনের সেদিনের উপকার ভোলেননি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জীবনের গল্প বলতে গিয়ে সেই কথাই বলেছেন রিজওয়ান। ভাইজানের এই সাহয্য তাঁর সারাজীবন মনে থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন এই ‘শাহরুখ’।