‘শেরশাহ’ ছবির পর থেকেই তাঁদের দুজনকে নিয়ে সিনেদুনিয়ায় বেজায় চর্চা। অনস্ক্রিন কাপল হিসেবে তাঁদের বেশ মিষ্টি লেগেছে বলেই, বাস্তব জীবনে তাঁদের সমীকরণ নিয়েও নানা কথার আনাগোনা। আর সেই সূত্রেই উঠে এল একখানা প্রশ্ন। ছবিতে পর্দায় যে চুমুর দৃশ্য ছিল, তা কি নেহাতই চিত্রনাট্যমাফিক! নাকি তাতে অনেকখানি মিশে ছিল তাঁদের নিজেদের ইচ্ছা! এর উত্তরে কিয়ারা-সিদ্ধার্থ কী জবাব দিলেন জানেন?
বলিপাড়ায় এই মুহূর্তে কোন জুড়িকে নিয়ে সবথেকে বেশি কথা হচ্ছে? এর উত্তর সকলেই জানেন প্রায়। তাঁরা হলেন কিয়ারা আদবানী এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। ‘শেরশাহ’ ছবিতে তাঁদের দুজনকে দেখা গিয়েছে একসঙ্গে। সিদ্ধার্থ অভিনয় করেছেন মেজর বিক্রম বাত্রার ভূমিকায়। কিয়ারা হয়েছেন তাঁর বান্ধবী ডিম্পল চিমা। যে ডিম্পল সাকুল্যে কটা দিনই কাটিয়েছিলেন বিক্রমের সঙ্গে। বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তাঁর আগেই কার্গিল শৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে শহিদ হন বিক্রম। আর সেই স্মৃতি বুকে আগলে সারা জীবন অবিবাহিত থেকে যান ডিম্পল। প্রেমের এই সৌন্দর্য খুব স্বাভাবিক ভাবেই দর্শমন অভিভূত করে ফেলে। এবং এই দুই চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেছেন, সেই কিয়ারা ও সিদ্ধার্থের জুড়িকেও ভালোবেসে ফেলে মানুষ। চর্চা শুরু হয়ে যায় বাস্তব জীবনে তাঁদের সম্পর্ক নিয়েও। তাঁরা একে অপরকে ভালবাসেন কি না, এমনকী বিয়ে করবেন কি না, এমন প্রশ্নও ঘুরতে থাকে।
আরও শুনুন: ‘খোলামেলা পোশাক নায়িকারা কি শুধু অনস্ক্রিনেই পরবে?’, প্রশ্ন তুললেন বিপাশা
এর মধ্যেই একটি প্রশ্ন বেশ মজার। একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে এই জুটিকে জিজ্ঞেস করা হয়, ছবিতে তাঁদের দুজনকে চুমু খেতে দেখা গিয়েছে। সেই চুম্বন কি স্রেফ চিত্রনাট্যের খাতিরে? নাকি তাঁর মধ্যে ছিল তাঁদের ক্রিয়েটিভ ইনপুট? অর্থাৎ জানতে চাওয়া হচ্ছে, চুলোয় যাক চিত্রনাট্য, নিজেদের মনের ইচ্ছেতেই কি অনস্ক্রিন চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তাঁরা? উত্তরে খানিকটা হেঁয়ালি করেন সিদ্ধার্থ। বলেন, ৯০ শতাংশ তো চিত্রনাট্য মেনে বটেই। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে বাকি ১০ শতাংশ? এবার বল গড়ায় কিয়ারার দিকে। তিনি তা ঠেলে দেন ছবির পরিচালকের দিকে। অবশ্য সিদ্ধার্থই পরে খোলসা করে বলে দেন, এ সবই চরিত্রের জন্য করতে হয়। এবং, নিজের ইচ্ছা তো দূরের কথা, বরং জোর করেই তা করতে হয়।
আরও শুনুন: দায়ের এফআইআর, মজা করতে গিয়ে কি সৌজন্য হারাচ্ছে ‘কপিল শর্মা শো’!
কিস কিসসার এইখানেই সমাপ্তি। তবে যেন ঠিক শেষ হয়েও শেষ হতে চায় না গল্প। দিনকয় আগেই মলদ্বীপে একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ। মুম্বইতে ফিরেওছিলেন একসঙ্গে। তাই বাস্তবজীবনে তাঁদের রোমান্সের ছিঁটেফোঁটা নেই, এমনটা এখনই বিশ্বাস করতে চান না ফ্যানরা। তবে হ্যাঁ, শেষমেশ চার হাত এক হবে কি না, দুই মন এক বিন্দুতে গিয়ে মিলবে কি না, সে তো সময়ই বলবে।