RAW অফিসার প্রেমে পড়ছেন লাস্যময়ী IAS অফিসারের। শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ বলুন কিংবা সলমনের ‘এক থা টাইগার’- ভারতীয় স্পাই মুভিতে এরকম রোমান্স প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে কি এমনটা হয়? এবার সে প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন দুঁদে গোয়েন্দাকর্তা। কী বললেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
নায়ক শাহরুখ খান, নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। কিংবা ধরুন, নায়ক-নায়িকা সলমন খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। ছবির চিত্রনাট্য মেনেই তাঁরা প্রেমে পড়েন। এ যেন অবধারিত। দর্শকের প্রত্যাশাও থাকে তেমনটাই। কিন্তু সিনেমায় যদি তাঁরা RAW কিংবা আইএসআই-এর মতো সংস্থার অফিসার হোন, তাহলেও কি এই প্রেম সম্ভব! হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় অবশ্য ভারত-পাকিস্তানের ফরেন ইন্টেলিজেন্সি এজেন্সির অফিসারদের প্রেমে পড়ায় কোনও বাধা নেই। ‘এক থা টাইগার’ বা ‘পাঠান’ ছবিতে তারই সাক্ষী থেকেছেন দর্শক। কিন্তু বাস্তবে কি তা সম্ভব! সম্প্রতি এ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন RAW প্রধান বিক্রম সুদ।
আরও শুনুন: শাহরুখ থেকে সলমন… তাঁর ইফতার পার্টিতে ডাক পেতে মুখিয়ে থাকেন তারকারা, কে এই বাবা সিদ্দিকি?
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তো ভারতীয় স্পাই মুভির গল্পগাছাকে এক কথায় নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, বাস্তবের সঙ্গে এই ধরনের সিনেমার মিল ঠিক কতখানি? হলিউডে এরকম বহু ছবি তৈরি হয়েছে। বলিউডেও এই মুহূর্তে স্পাই মুভির রমরমা। এমনকী স্পাই মাল্টিভার্সের কথাও ভাবা হচ্ছে। তা সিনেমা আর বাস্তবে কি তিনি মিল খুঁজে পান আদৌ? প্রশ্ন শুনে তো হেসেই ফেলেছেন প্রাক্তন গোয়েন্দাকর্তা। জানিয়েছেন, এই সব ছবির গল্প নেহাতই হাস্যকর। কমেডি সিনেমা হিসাবে তা মন্দ নয়, তবে বাস্তবের সঙ্গে সাদৃশ্য খোঁজার প্রসঙ্গে হেসে ফেলা ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না তাঁর কাছে। তিনি জানিয়েছেন, সিনেমায় যেমনটা দেখানো হয়, বাস্তবে ইনটেলিজেন্সি এজেন্সির অফিসাররা কেউই শাহরুখ, সলমন বা জন আব্রাহামের মতো দেখতে নয়।
আরও শুনুন: দুটি নয়, আছে একটিই স্তন! প্রেমিক ভেঙেছিল সম্পর্ক, মডেলিং করে বাজিমাত তরুণীর
এরপরই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই যে ছবিতে দুই ভিন দেশের ইন্টেলিজেন্সি অফিসারদের মধ্যে রোম্যান্টিক সম্পর্ক দেখানো হয়, তা কি বাস্তবেও হয়? স্পষ্টতই এরকম সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, যদি এই ধরনের প্রেম-প্রণয়ের সম্পর্ক কোনও অপারেশনের অংশ হয়, তাহলে আলাদা কথা। আর কেউ যদি নিজে থেকে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তা একেবারে অন্য মাত্রার বিষয় হয়ে ওঠে। আর সেক্ষেত্রে ইন্টেলিজেন্সির প্রধান হিসাবে তাঁর কপালেও অশেষ ভোগান্তির সম্ভাবনা থাকত। সব মিলিয়ে হাসিমুখেই ভারতীয় স্পাই-মুভির সমস্ত কল্পনাকে একেবারে উড়িয়েই দিয়েছেন প্রাক্তন RAW প্রধান।