পর্দায় তাঁরা মেতে ওঠেন উদ্দাম যৌনতায়। তাঁদের লাস্যে ভরা শরীরী ভঙ্গি থেকে চোখ ফেরাতে ভুলে যান দর্শকেরা। কিন্তু সেই সময়ে তাঁদেরও কি একইরকম অনুভূতি হয়? তাঁরাও কি একইভাবে উপভোগ করেন সহকর্মীর সঙ্গে যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা? সে কথাই ফাঁস করলেন এই পর্ন অভিনেত্রী। কী বললেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পর্দা জুড়ে দুই শরীরের ওলটপালট। কখনও আবার সংখ্যাটা আরও বেশি। বিভিন্ন ভঙ্গিতে নারীটির শরীরে ডুবে যান এক বা একাধিক পুরুষ। সময়ের জ্ঞান থাকে না কারোরই। আর সেই উদ্দাম যৌনতার দৃশ্যই পলক না ফেলে দেখতে থাকেন দর্শকেরা। কিন্তু সত্যিই কি গোটা ছবির দীর্ঘ সময় জুড়ে সঙ্গমে লিপ্ত থাকেন নায়ক নায়িকারা? দর্শকদের মতো তাঁরাও কি উপভোগ করেন এই যৌন অভিজ্ঞতা? নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে সেই প্রশ্নেরই খোলা উত্তর দিয়েছিলেন আমেরিকার পর্ন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম মুখ ব্রিটনি অ্যাম্বার।
আরও শুনুন: ৬ ঘণ্টার রেকর্ড যৌনতা পর্ন তারকার, নীল দুনিয়ায় ভাল পারফরমেন্সে মেলে পুরস্কারও
২০০৮ সালে প্রথম পর্ন ছবির জগতে পা রাখেন ব্রিটনি। ২০২১ সালে এই ধরনের ছবির জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই অভিনেত্রীই সাফ জানিয়েছিলেন, সঙ্গমের দৃশ্যে অভিনয় করা যতটা সহজ মনে হয়, আদতে ততটা নয়। অনেক সময়ে অস্বস্তিকর ভাবে সঙ্গমে লিপ্ত হতে হয় অভিনেত্রীদের। আবার এমন অনেক পুরুষদের সঙ্গে অভিনয় করতে হয় যাঁদের অভিজ্ঞতা কম। এইরকম ক্ষেত্রে অভিনেত্রীদের বেশ সমস্যার মুখেই যেন পড়তে হয়, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছিল ব্রিটনির কথায়।
আরও শুনুন: সবচেয়ে বেশি সঙ্গমে লিপ্ত হন কারা? যৌন মিলনের হার বিচার করে জানাল সমীক্ষা
আরেক পর্ন তারকা শেলি লুবেন আরও এক ধাপ এগিয়ে জানিয়েছিলেন, কেবল মাত্র অর্থের জন্যই পর্ন দুনিয়ায় কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। একজন অপরিচিতের সঙ্গে কখনোই তিনি যৌনতা উপভোগ করেননি, এমনটাই খোলাখুলি জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, আসলে সবটাই মায়ার খেলা। দর্শকদের মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে বিভ্রম তৈরি করা হয় পর্ন ছবিতে। যেখানে দেখানো হয়, সমস্ত শরীর দিয়ে সামগ্রিক যৌন অভিজ্ঞতাটি উপভোগ করছেন পর্দার নারীটি। কিন্তু আদতে নিজের অনুভব নয়, পরিচালকের নির্দেশই মাথায় রেখে কাজ করতে হয় তাঁদের, জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে রিল আর রিয়েলের তফাতটাই যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন এই পর্ন তারকারা।