সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু এক ফাঁড়া কাটতে না কাটতেই আর এক উপদ্রব। এবার ঘর ছাড়ার নোটিস হাতে পেলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি। তাঁর আশঙ্কা, এবার কি তাঁকে দেশ ছাড়তে হবে? পরীমণির এই অসহায়তা অন্তর থেকে অনুভব করলেন খ্যাতনামা লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
মুক্তি পেলেও স্বস্তি পেলেন না পরীমণি। জেল থেকে বাড়ি ফিরে দেখলেন, সেই ঘরও হাতছাড়া হতে চলেছে তাঁর। দিন চারেক আগেই তাঁকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিস হাতে পেয়ে বেশ আশ্চর্য হয়েছেন অভিনেত্রী। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আমার বসবাসের অধিকারটা পর্যন্ত কি ওরা কেড়ে নিতে চাইছে? আমাকে কি তবে ঢাকা ছেড়ে বা দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে? পরীমণি বলেন, তিনি একা নন। তাঁর সঙ্গে থাকেন তাঁর বয়স্ক আত্মীয়। এরকম করার মানেটা কী, সেটাও জানতে চেয়েছেন তিনি। খোলামেলা ওই সাক্ষাৎকারে আরও অনেক কথাই জানিয়েছেন পরীমণি। যেদিন জামিনে মুক্তি পেলেন সেদিন বেরিয়ে আসার মুহূর্তে তাঁর হাতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। প্রশ্ন ছিল, এই কথা তিনি কার উদ্দেশে লিখেছেন? উত্তরে পরীমণি জানান, এই লেখা দেখে ঠিক যাদের যাদের মনে হবে, আমার জন্যেই কি এই কথা লিখেছে, ঠিক তাঁদের উদ্দেশেই তিনি এই কথা জানিয়েছেন।
আরও শুনুন: মুক্তি পেতেই Pori Moni-কে দেখতে ভিড়, হাতের তালুতে কী লিখলেন অভিনেত্রী?
তবে এই মুহূর্তে তাঁর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বাড়িছাড়ার বিষয়টি। এই মুহূর্তে পরীমণি যে অবস্থার মধ্যে পড়েছেন, তার সঙ্গে নিজের জীবনের পরিস্থিতির মিল খুঁজে পেয়েছেন খ্যাতনামা লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, ‘পরীমণি জেল থেকে বেরোল, বাড়িতে ঢুকল আর দেখল তাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দিয়েছে বাড়িওয়ালা। এই ভয়ংকর দুঃসময়কে আমি খুব ভালো জানি, যেহেতু নিজের জীবনেই ঘটেছে এমন ঘটনা।’ নিজের জীবনের সেই দিনগুলোর কথা বর্ণনা করে শেষে তিনি বলেন, ‘বাড়ি ছাড়ার নোটিসটি হাতে নিয়ে পরীমণি বলছে, ‘আমি এখন কোথায় যাব, কে আমাকে এই সময় বাড়ি ভাড়া দেবে, আমাকে কি তাহলে ঢাকা ছাড়তে হবে, দেশ ছাড়তে হবে!!’ এরকম আমিও বলেছিলাম সেদিন! পরীমণির অসহায়তা আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করছি।
তবে পরীমণির শত্রু যেমন কম নয়, অনুরাগী শুভানুধ্যায়ীও তেমন কম নয়, তারা এই দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়াবে, আমার বিশ্বাস।’
আরও শুনুন: মানুষ হিসেবে কেউ Pori Moni-র মতো মহান নয়, সোশাল মিডিয়ায় আবার সরব Taslima Nasrin
পরীমণির পাশে নিশ্চিতই তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা থাকবেন। তবে, শেষমেশ তাঁকেও তসলিমার মতো দেশ ছাড়তে হবে কি না, সময়ই সে উত্তর দেবে।