অরিজিৎ সিং-এর পোস্টে কমেন্ট করে ফের নেটদুনিয়ার ট্রোলের মুখে শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। পুরনো একটা প্রসঙ্গ, সেখানে যদি ভুল হয়েও থাকে, তার জন্য তো ক্ষমা চেয়েছেন শিল্পী। তারপরও তাঁকে এই ভাবে আক্রমণ বা ব্যঙ্গ করার কি কোনও যৌক্তিকতা আছে? তাহলে কি আমরা এটা বলতে পারি যে, সোশ্যাল মিডিয়া বারবার খুঁচিয়ে পুরোনো ক্ষতগুলো আবার দগদগে করে দিচ্ছে, তিক্ত অতীত ভুলতে দিচ্ছে না! বা গোপনে রাগ জমিয়ে রাখাকে ইন্ধন জোগাচ্ছে? আলোচনায় শঙ্খ বিশ্বাস।
প্রায় অকারণেই নেটদুনিয়ার রোষানলের মুখে সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। কেকে-কে নিয়ে তাঁর মন্ত্যব্যের জন্য মিডিয়া ট্রায়ালের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই রোষের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয় কেকে-র অকালপ্রয়াণ। তখনই ঘটনার জল অনেক দূর গড়ায়। তবে সে-ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন রূপঙ্কর। তাহলে সেখানেই তো ঘটনার ইতি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হল না।
আরও শুনুন: Audio Blog: ঘড়িতেই প্রেশার-সুগার মাপছেন! প্রযুক্তিতে ভরসা করে হিতে বিপরীত হচ্ছে না তো?
সোশ্যাল মিডিয়া যেন আমাদের কোনও কিছুই ভুলতে দেয় না বা দিচ্ছে না। ঠিক খুঁচিয়ে এমন কিছু প্রসঙ্গ টেনে আনছে যা কিনা ভুলে যাওয়াই উচিত। অনেকটা ঠিক ওই রাগ পুষে রাখার মতো ব্যাপার আর কি! রূপঙ্করের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। পুরনো ওই বিতর্কিত ঘটনার জেরে এখনও রূপঙ্করকে ট্রোল করছেন কেউ কেউ। একেবারে অন্য প্রেক্ষিতে, যার সঙ্গে পুরনো ঘটনার কোনও যোগাযোগই নেই, তার জন্যও কটাক্ষের শিকার শিল্পী। সদ্য ফেসবুকে ডিপি পালটেছেন অরিজিৎ সিং। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মঞ্চে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করছেন তিনি। যদিও ছবিটি ২০২১ সালের। আবার তা ফিরিয়ে এনেছেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পী। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ওই ছবিটিকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রূপঙ্কর বাগচীও তাঁদেরই একজন । তিনি পোস্টটিতে ‘লাভ’ প্রতিক্রিয়া তো দিয়েইছেন একইসঙ্গে অরিজিতের উদ্দেশে মন্তব্য করেছেন, “ভালবাসা নিও”। আর এখানেই ঘটল বিপত্তি! একদল মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর উপরে। তাঁরা আদতে অরিজিতের ভক্ত না কেকের ভক্ত নাকি রূপঙ্কর বিদ্বেষী সেটা বোঝাই যেন দায়। একের পর এক তীর্যক কমেন্টে তাঁরা ভরিয়ে দিলেন রূপঙ্করের সেই কমেন্টের রিপ্লাই সেকশন।
তাঁর করা পুরনো মন্তব্যকেই ব্যঙ্গ করে কেউ কেউ লিখলেন “হু ইজ অরিজিৎ সিং ম্যান?” গায়ককে আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হল, যে বাংলার অরিজিৎ কিন্তু মুম্বইয়েও গান করেন! তাঁর বিপুল নাম-যশ-খ্যাতিতে রূপঙ্কর কি ঈর্ষাপরায়ণ নন? তাঁকে পালটা আক্রমণে বলা হল, “ওঁকে নিয়েও হীনমন্যতায় ভুগছেন?” কেউ আবার বললেন, “না, প্লিজ ভালবাসা দেবেন না ওঁকে!”
আরও শুনুন: Audio Blog: ‘শরীর অশ্লীল নয়’, সিনে-সংস্কৃতিতে নতুন ভাবনা উসকে দিলেন জিনাত আমন
পুরনো একটা প্রসঙ্গ, সেখানে যদি ভুল হয়েও থাকে, তার জন্য তো ক্ষমাও চেয়েছেন শিল্পী। তারপরও তাঁকে এই ভাবে আক্রমণ বা ব্যঙ্গ করার কি কোনও যৌক্তিকতা আছে? এটা তো সম্পূর্ণ একটা অন্য প্রসঙ্গ ছিল। তাহলে এক্ষেত্রে এরকম আক্রমণের যৌক্তিকতা কী? তাহলে কি আমরা এটা বলতে পারি যে, সোশ্যাল মিডিয়া বারবার খুঁচিয়ে পুরোনো ক্ষতগুলো আবার দগদগে করে দিচ্ছে, তিক্ত অতীত ভুলতে দিচ্ছে না! বা গোপনে রাগ জমিয়ে রাখাকে ইন্ধন জোগাচ্ছে?
সময় এসেছে কিন্তু একটু ভেবে দেখার। ভাবুন, ভাবা বোধহয় এবার সত্যিই প্রাকটিস করা দরকার।