বিপাশা বসু মানেই সেনসেশন। বিপাশা বসু মানে একটা সময়ের উন্মাদনা, স্টাইল স্টেটমেন্ট এবং বোল্ডনেস। এই বিপাশা বলিউডে তাঁর কেরিয়ারের কুড়ি বছর পূর্ণ করে ফেললেন। সম্প্রতি বহুদিন পর তাঁকে একটা অনুষ্ঠানে দেখা গেল। যথারীতি এবারও অভিনব পোশাকে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন বিপাশা। সেইসঙ্গে পোশাক নিয়ে জানিয়েছেন তাঁর বলিষ্ঠ মতামতও।
মায়ানগরীতে কেরিয়ার যখন শুরু করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ‘আজনবি’। হ্যাঁ, তাঁর প্রথম ছবির নামই ছিল এটা। কিন্তু বেশিদিন ‘আজনবি’ হয়ে থাকতে হয়নি তাঁকে। ছবির ভালো-মন্দ, হিট-ফ্লপ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তাঁর ভিতর থেকেই কেউ কেউ নিজের স্বাতন্ত্র চিহ্নিত করে বাজিমাত করে যান। তেমনই একজন নিঃসন্দেহে বিপাশা বসু। ২০০১-এ যখন তিনি পর্দায় ধরা দিলেন, তখন একটা নতুন সময় আসছে। জনজীবনের ভিতর ধরা দিচ্ছে সেই পরিবর্তন। স্বাভাবিক ভাবে মেইনস্ট্রিম সিনেমাও খুঁজছিল একরকমের নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব স্টাইল। এই চাহিদাপূরণ হয়েই যেন ধরা দিলেন বিপাশা বসু। বলিউডি নায়িকার সংজ্ঞায় তিনি প্রবল ব্যতিক্রম। যা কিছু নিয়ম বলে পরিচিত, তা ভাঙচুর করেই তিনি নিজস্ব সাম্রাজ্য গড়েছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন সময়ের মুখ। বোল্ডনেস আর বিপাশা প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল সেই সময়।
আরও শুনুন: ‘জাবরা ফ্যান’ গানটাই নেই সিনেমায়, অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম নির্দেশে ‘ক্ষতিপূরণ’ পেলেন ভক্ত
দেখতে দেখতে জীবন গিয়েছে চলে কুড়ি বছরের পার। কেরিয়ারের দু-দশক পূর্ণ করে, বিপাশা এখন সাময়িক অন্তরালে। খুব কমই দেখা যায় তাঁকে। তবে এর মধ্যেই এক অনুষ্ঠানে এসে অভিনব পোশাকে ফের সকলকে চমকে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাও বলেছেন বিপাশা। অবশ্য তাকে শুধু কথা বললে ভুল বলা হবে, বলিউডের অলিখিত কিছু নিয়মকানুনকে একরকম প্রশ্নের কাঠগড়াতেই তুলেছেন তিনি। যেমন, একবার নাকি বিপাশা আইস টি পান করছিলেন। তা দেখে তাঁকে একজন পরামর্শ দেন, এরকম না করতে। তাতে কেউ ভাবতে পারেন যে, তিনি মদ্যপান করছেন। অর্থাৎ, এই যে একটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি ভাব আছে বলিপাড়াই তাই-ই খোলসা করে বলেছেন বিপাশা।
আরও শুনুন: একটু উষ্ণতার খোঁজে… পোশাক নিয়ে অস্বস্তি, তবু নেটদুনিয়া মাতিয়ে রাখলেন নোরা
একই ভাবে তাঁর প্রশ্ন খোলামেলা পোশাক পরা নিয়েও। প্রায়শই নায়িকাদের এই ধরনের পোশাক পরা নিয়ে নেটদুনিয়ায় হেনস্তার শিকার হতে হয়। বিপাশা বলছেন, সিনেপাড়ায় অকথিত একধরনের নিয়মই আছে। যে, অনস্ক্রিন সকলেই খোলামেলা পোশাক পরবেন। কিন্তু সেই একই জিনিস বাস্তবে পরলে গেল গেল রব উঠবে। তাঁর তাই প্রশ্ন, নায়িকারা কি খোলামেলা পোশাক কেবল অনস্ক্রিনই পরতে পারবেন? কেন তাঁরা তা বাস্তবে পরতে পারবেন না! এই যে দুরকমের মনোভাব, এর কোনও অর্থই বুঝতে পারেন না তিনি, বলে জানিয়েছেন বিপাশা।
বিপাশার এই প্রশ্ন অমূলক নয়। তিনি যখন বোল্ড আউটফিটে ধরা দিতেন তখনও এমন সমালোচনা হত। দু-দশক পরে এখন নোরা ফতেহিকেও একই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সময় গড়িয়ে যায়, কিন্তু বোধহয় কিছুই বদলায় না। বিপাশার প্রশ্ন যেন সেই ইঙ্গিতই উসকে দিল।