সেক্রেড গেমস-এ তাঁর সাবলীল অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শক। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছান অভিনেত্রী রাজশ্রী দেশপাণ্ডে। সেই তাঁকেই শুনতে হয়েছিল অদ্ভুত কথা। টাকা না দিলে জায়গা মিলবে না ম্যাগাজিনের কভারে! এমনকী মিলবে না পুরস্কারও! তা এ প্রস্তাবের কী জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী? আসুন শুনে নিই।
খোলামেলা পোশাকে সমুদ্রসৈকতে বসে আছেন অভিনেত্রী। প্রকৃতির শোভার সঙ্গে মিশে গিয়েছে তাঁর শরীরী সৌন্দর্য। সে-ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মাত্র প্রত্যাশিত ভাবেই মুগ্ধ হয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। তবে অভিনেত্রী রাজশ্রী পাণ্ডে কিন্তু শুধু এই ছবির দৌলতে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি। করেছেন এই ছবির সঙ্গে মিশে থাকা তাঁর বক্তব্যের জন্য। যে বক্তব্যে আসলে গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রতি কটাক্ষই ছুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
আরও শুনুন: সামান্থার কেরিয়ার শেষ! গীতার বাণী মনে করিয়েই জবাব অভিনেত্রীর
সাহসী অভিনেত্রী তিনি। সেক্রেড গেমস-এ বলিষ্ঠ দৃশ্যে মাত করে দিয়েছিলেন অভিনয়ে। সাবলীল অভিনয়ে নগ্নতাকেও যে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, ক্যামেরার সামনে চরিত্র হয়ে উঠেই তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন তিনি। দর্শকও এক লহমায় গুণমুগ্ধ হয়ে ওঠে তাঁর। আবার একই সঙ্গে ধেয়ে আসে কটাক্ষ ও সমালোচনাও। নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য পর্নস্টার হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গোটা সিরিজে তাঁর ভাল অভিনয় যেন কিছুই নয়। কেবল কয়েকটি দৃশ্যে তাঁর বলিষ্ঠ-সাহসী অভিনয়ই ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। অভিনেত্রী নিজে অবশ্য সে সমালোচনা গায়ে মাখেননি। বরং তিনি তৈরি করে নিয়েছেন তাঁর নিজের জগৎ। সে জগতে মিশে আছে ভ্রমণের নেশা। আর সেই নেশার টানেই রাজশ্রী ছুটে যান প্রকৃতির কাছাকাছি। উন্মুক্ত পরিবেশে খোলামেলা পোশাকেই দেখা যায় তাঁকে। কোনও সমালোচনাকেই তিনি বিশেষ পাত্তা দেন না।
আরও শুনুন: দুটি নয়, আছে একটিই স্তন! প্রেমিক ভেঙেছিল সম্পর্ক, মডেলিং করে বাজিমাত তরুণীর
তাঁর এই ডোন্ট কেয়ার মনোভাব দিয়েই গ্ল্যামার জগৎকে এবার কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা পোশাকে সাহসী হয়েই ধরা দিয়েছেন তিনি। আর তার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তাঁর বক্তব্য। গ্ল্যামার দুনিয়া তাঁকে কী বলে? বলে, ভাল পোশাক পরে ম্যাগাজিন কভারে যদি তাঁকে হাজির হতে হয়, তবে তাঁকেই নাকি দিতে হবে অর্থ! এমনকী পুরস্কার পেতে গেলেও সেই একই নিয়ম। অভিনেত্রী বলছেন, কে সবের ধার ধারে! কেই-বা তার জন্য অর্থ খরচ করে। বরং তাঁর আগ্রহ প্রকৃতির বিস্ময় আবিষ্কার করতে। প্রকৃতির মধ্যেই নিজের সত্তাকে খুঁজে পেতে। আর তাই তাঁর মনমর্জি মতো তিনি ঘুরে বেড়ান এই বিশ্বের কোনায় কোনায়। সেই ছবিই তিনি দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই বক্তব্যই ঝড় তুলেছে নেটদুনিয়ায়। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, এই কাজ করে কি ঠিক করছেন? জবাবে, সকলেই বলেছেন নিজের শর্তে নিজের জীবন বাঁচার থেকে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে! অতএব গ্ল্যামার দুনিয়ার মোহ-মায়ার টান ছেড়ে সমুদ্র-আর পাহাড়ের টানেই তিনি বেরিয়ে পড়েছেন। তিনি বোধহয় নিজেই জানেন, অর্থ-খ্যাতি বা ম্যাগাজিন কভারে উষ্ণতা ছড়ানো নয়, বরং এই মনমর্জির নিজস্ব জীবনই তাঁর পাওয়া সেরা পুরস্কার।