সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মা। স্পষ্ট মতামত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন নিজের অবস্থান। ঠিক কী বললেন অভিনেত্রী? শুনে নেওয়া যাক প্লে-বাটন ক্লিক করে।
ধর্মীয় বিভাজন নিয়ে আমরা বড় বেশি ব্যস্ত। কিন্তু আমরা যে আসলে এক দেশেরই মানুষ, সে কথা মনে করে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত আমাদের। বললেন বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মা।
আরও শুনুন: দেশের কোনও ইস্যুতে কেন মুখ খোলেন না খান হিরোরা? প্রশ্ন তুলে সরব নাসিরুদ্দিন শাহ
সম্প্রতি একটি ওয়েব সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অপর্ণা সেনের কন্যা। নাম ‘মুম্বাই ডায়েরিজ’। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল, সেই ঘটনা অবলম্বন করেই এগিয়েছে এই সিরিজ। সেই প্রসঙ্গেই সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউতে এ কথা জানালেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী বলেছেন কঙ্কনা?
আরও শুনুন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কেন চিন্তিত করে সইফকে? খোলসা করলেন অভিনেতা
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যখনই সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উঠে আসে কোনও ছবিতে বা সিরিজে, মানুষ একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা ধর্মের দিকে আঙুল তোলে। কিন্তু এই নতুন ওয়েব সিরিজ কি কোথাও তাদের থেকে আলাদা? সেখানে কি আরও একটু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখা হয়েছে বিষয়টিকে?
এর জবাবে কঙ্কনার বক্তব্য ছিল, আসলে এইরকম কথা উঠে আসে এক বিশেষ মানসিকতা থেকে। যে মানসিক ধরন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা ধর্মকে সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী বলে দাগিয়ে ফেলে। এই ধরনের মানসিকতাকে তিনি যে সমর্থন করেন না, তা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন কঙ্কনা। কিন্তু তা বলে একে দূরে ঠেলে দিতেও চান না তিনি। বরং সহমর্মিতার চোখে দেখতে চান এই মানুষদের। তাই তিনি বলেন, আমাদের সবাইকেই যুঝতে হবে এই মানসিকতার সঙ্গে। আমাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতার বোধ। প্রকারান্তরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কোনও এক-দুজন মানুষ নন, আমাদের যে কারও মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে এই জাতীয় মনোভাব।
একইসঙ্গে কঙ্কনা আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিজেই আসলে একটা ধর্ম। আর যে কোনও ধর্মের মানুষই এই ধর্মে যোগ দিতে পারে। সন্ত্রাসের নেশায় উন্মত্ত এই মানুষেরা নিজেদের যে ধর্মের অন্তর্গত বলেই দাবি করুক, তাতে আদতে কিছু এসে যায় না।
সন্ত্রাসবাদের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠলেও, ‘মুম্বাই ডায়েরিজ’ সিরিজটির লক্ষ্য সেদিনের ফ্রন্টলাইন কর্মী, মূলত ডাক্তার-নার্সদের শ্রদ্ধা জানানো। সেই প্রসঙ্গ তুলে এনে সিরিজের পরিচালক নিখিল আদবানির একটি মন্তব্যকে মনে করালেন কঙ্কনা। নিখিল বলেন, কোনও হাসপাতালের এমারজেন্সিতে রোগীর রক্তের গ্রুপ জানতে চাওয়া হয়, তার ধর্ম নয়।
আমরা আসলে এইসব ধর্মীয় ভাগাভাগি নিয়ে বড় বেশি মাথা ঘামাই বলে মত কঙ্কনার। এর পরিবর্তে এক দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের মধ্যে আসা উচিত একতা, এবং সেই সূত্রে শান্তি ও সহিষ্ণুতা। এই আরজিই জানিয়েছেন কঙ্কনা সেনশর্মা।