চট করে কোথাও থেকে ঘুরে আসা মানেই বাঙালি ডেস্টিনেশন বোলপুর। রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত এই জায়গা বাঙালির কাছে বরাবরের প্রিয়। কিন্তু কী থেকে এই জায়গার নাম হল বোলপুর? আসুন শুনে নেওয়া যাক সেই গল্প।
বোলপুরের সব খ্যাতি এখন রবীন্দ্রনাথকে ঘিরেই। সেই ১২ বছর বয়সে বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে এই মাটিতে পা দিয়েছিল বালক রবি। তারপর তাঁর হাত ধরেই ক্রমে এই জায়গা ঐতিহাসিক খ্যাতি অর্জন করে।
আরও শুনুন: বাংলায় প্রথম মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা করতেন গঙ্গাদেবীর পুজোও, জানেন কে তিনি?
ইতিহাসের দিকে আজ যদি আমরা ফিরে তাকাই তো দেখব, এককালে বোলপুরের থেকেও বেশি খ্যাতি ছিল পার্শ্ববর্তী সুপুরের। এই সুপুরকে ঘিরে নানা কিংবদন্তি ছড়িয়ে আছে, যার মধ্যেই আছে বোলপুর নামকরণের রহস্যও। জানা যায়, সেকালে সুরথ নামে এক রাজা ছিলেন। ইতিহাসগত ভাবে তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। মনে করা হয় তিনি একজন পৌরাণিক চরিত্র। তো এই সুরথ রাজা একবার কর্ণাট দেশ জয় করবেন বলে মনস্থ করেন। কিন্তু তাঁর সেই অভিযান সফল হয়নি। একসময় তাঁর প্রজারাও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। রাজ্যহারা হয়ে তিনি শুরু করেন শক্তিসাধনা। তাঁর সাধনায় তুষ্ট হয়ে দেবী ভবানী তাঁকে তাঁর হারানো রাজ্য অর্থাৎ সুপুর ফিরিয়ে দেন।
আরও শুনুন: বৃষ্টি নিয়ে জুয়া খেলা হত উনিশ শতকের কলকাতায়, বাজির দর উঠত পাঁচশ টাকা পর্যন্ত
আবার অনেকে বলেন, রাজা সুরথ আসলে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিংবদন্তিতে নানা মতভেদ যেরকম থাকে, এক্ষেত্রেও তা আছে। এই রাজা সুরথ নাকি ভবানীপূজায় লক্ষ পাঁঠা বলি দিতেন। এত বলির জন্যই সুপুরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির নাম হয়ে দাঁড়ায় বলিপুর। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নিয়ে যাঁর গবেষণা আমাদের নানা ক্ষেত্রে আলো দেখিয়েছে, সেই বিনয় ঘোষ জানাচ্ছেন, এই বলিপুর থেকেই বোলপুর নাম হয় ওই জায়গার। আবার তিনি এ-ও জানাচ্ছেন যে, স্থানীয় লোককাহিনিতে সুরথকে অত্যাচারী জমিদার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কথিত আছে, অত্যাচারিত মানুষের প্রেতাত্মা নাকি প্রতিশোধ নেবে বলে একবার সুরথকে তাড়া করে। সুরথ ভয়ে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।