পুরভোটে সমস্ত বুথেই রাখতে হবে সিসিটিভি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত, দাবি বিশেষ তদন্তকারী দলের। দেশে ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১। গত ষোলো বছরের মধ্যে রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়েছে পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে খেলবেন না কোহলি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 ডিসেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ব্যাংক ডুবলেও সুরক্ষিত গ্রাহকদের টাকা, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. গোয়ায় তৃণমূলের হাত শক্ত করল মহারাষ্ট্রবাদি গোমন্তক পার্টি। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির জোট ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল তারা। মঙ্গলবার পানাজিতে জনসভার মঞ্চ থেকে এই জোটের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের জোট দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে।” একইসঙ্গে নাম না করে কটাক্ষ করেন কংগ্রেসকেও, “ভোট কাটবেন না। গোয়ায় আমরাই জিতব। আমরাই সরকার গড়ব।”
মঙ্গলবার ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের দ্বিতীয় দিন। এদিন বিকেলে পানাজিতে সভা করেন তিনি। সভাতে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রবাদি গোমন্তক পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। জনসভা থেকে মমতা বলেন, “তৃণমূল-এমজিপি একসঙ্গে লড়াই করবে। বিজেপিকে হারাতে জোট বাঁধুন।” তৃণমূল-এমজিপি জোটকে ‘যৌথ পরিবার’ বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। এই জোট যে কেবল আসন সমঝোতার জোট নয়, তাও সভা থেকে স্পষ্ট করে দেন মমতা। গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা এমজিপি-র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ইস্তেহার তৈরি করেন। প্রসঙ্গত, বেনোলিমের সভা থেকে কংগ্রেসকে তৃণমূলের জোটে আসার ডাক দিয়েছিলেন মমতা। এদিনও বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলকে গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধার আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সভা থেকে কংগ্রেসকে মমতার কড়া বার্তা, “যারা বিজেপি বিরোধিতা করছেন তাঁরা আমাদের সঙ্গে আসুন। আর না এলেও ভোট কাটবেন না।” গোয়ায় তৃণমূলই ‘আসল বিকল্প’ বলে দাবি করেন তিনি।
2. কলকাতা পুরসভার ভোটে সমস্ত বুথেই সিসিটিভি রাখতে হবে। সিসিটিভি রাখতে হবে স্ট্রং রুমেও। এক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার এমন রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
মামলাকারীর দাবি, গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। চলেছে গুলিও। এমনকী, কলেজে নির্বাচনেও অশান্তি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। তাঁর আরও দাবি, ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট থাকছে না। এমন পরিস্থিতিতে আগত পুরভোটে পুলিশবাহিনী বৃদ্ধি ও সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগানোর আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। এদিন সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি শেষে বিচারপতিরা কলকাতা পুরভোটে ৪ হাজার ৪৮২টি বুথ এবং ৩৬৫টি অতিরিক্ত বুথে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি স্ট্রং রুমেও সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। রায়ের প্রেক্ষিতে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগাতে আপত্তি নেই।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। শীর্ষ আদালত থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় এদিন হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছে বিজেপি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।