প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনেকেই মানিয়ে নিতে পারেন না। তার অনিবার্য ফল হয় নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা। নেগেটিভিটি বায়াসে ভুগতে থাকেন অনেকে। অর্থাৎ যে কোনও কথা, যে কোনও পরিস্থিতির নেতিবাচক দিকটিকেই আঁকড়ে ধরেন। আর তখন লড়াইটা আরও শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। কী করে মোকাবিলা করবেন এমন অবস্থার?
সম্প্রতি দেশকে মিস ইউনিভার্সের খেতাব এনে দিয়েছেন চণ্ডীগড়ের মেয়ে হরনাজ সান্ধু। ফাইনাল রাউন্ডে বিচারকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার মন্ত্র হল আত্মবিশ্বাস। নিজের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে হবে নিজেকেই। সেই সঙ্গে হরনাজ এ-ও জানান, নিজের উপরে বিশ্বাস রেখেছিলেন বলেই তিনি আজ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে। হরনাজের ইন্সটাগ্রামের পোস্টেও জ্বলজ্বল করছে ১৯৯৪ সালের মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনের একটি কথা। যেখানে সুস্মিতা বলেছেন, তিনি এই খেতাব জিতেছিলেন, কেন-না একজন গড়পড়তা মেয়ে হয়েও তিনি নিজের উপরে এই বিশ্বাস রেখেছিলেন যে চেষ্টা করলে একদিন তিনি অসাধারণ হয়ে উঠবেন ঠিক। অর্থাৎ এখানেও ফিরে এসেছে সেই আত্মবিশ্বাসের কথাই। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, কঠিন সময় এলে অনেকেই সবার আগে হারিয়ে ফেলেন এই জিনিসটিই। আর ওই সময়ের মোকাবিলা করার পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় সেটাই। তাহলে, নিজের উপর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার উপায় কী? শুনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু কথা।
আরও শুনুন: সমালোচনা শুনলেই ঘিরে ধরছে হতাশা, ‘নেগেটিভিটি বায়াস’-এর লক্ষণ নয় তো?
প্রথমত, নিজেকে ভালবাসুন। নিজের ভুল ত্রুটি, না-পারা, এই সবকিছুকে চিহ্নিত করুন। কিন্তু তার জন্য নিজেকে এমনভাবে দোষারোপ করবেন না, যাতে আপনি নিজের কাছেও ছোট হয়ে যান। মনে রাখবেন, ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স মানুষকে ভেতর থেকে ভেঙে ফেলতে থাকে। বরং একান্ত বন্ধুর মতো নিজেকে বলুন যে, আপনিও পারবেন। সেই জোর নিয়েই ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, কী করে কাটিয়ে ওঠা যায় আপনার ভুলভ্রান্তিগুলো। মানুষ মেশিনে বানানো যন্ত্রের মতো পুরোপুরি নিখুঁত হতে পারে না। সুতরাং নিজেকে অহেতুক চাপ না দিয়ে আপনার সেরাটুকুই বের করে আনার চেষ্টা করুন।
আরও শুনুন: মনখারাপের দরুন কাজের দফারফা! মন ভালো রাখবেন কী উপায়ে?
দ্বিতীয়ত, নিজেকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। হরনাজ সান্ধু ওই প্রশ্নের উত্তরে এ কথাও বলেছিলেন, অন্য কারও সঙ্গে তুলনা না করে বরং দুনিয়ায় চলতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা বেশি জরুরি।
শুনে নিন বাকি অংশ।