ইন্টারনেট ছাড়া একটা দিন তো দূরের কথা, একটা ঘণ্টা কাটানোও এখন যেন কষ্ট করে কল্পনা করতে হয়। সময় বদলায়। বদলায় জীবনের ধরন-ধারণ। আর সেই কারণেই বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট প্রায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অথচ ভাবতে আশ্চর্য লাগে এই পৃথিবীরই ৩ বিলিয়ন মানুষ নাকি জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারই করেননি। যা ভাবা যায় না, তা কিন্তু ঘোর বাস্তব। আসুন, শুনে নিই।
অনেকেই বলে থাকেন, যে সময়ে আমরা বাস করছি তা আসলে গতির যুগ। সবকিছু আমাদের চারপাশে অতি দ্রুত বদলে যায়। সেই বদলে যাওয়া জীবনে পাকাপাকি ভাবে যে জায়গা করে নিয়েছে বলা যায়, তা হল ইন্টারনেট। গত এক কি দুই দশকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রে হোক বা অফিস কাঁচারিতে – ইন্টারনেট যে বড় রদবদল এনে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই ইন্টারনেটই নাকি সারা জীবনে ব্যবহারই করেনি এরকম বহু মানুষ আছেন পৃথিবীতে। আর তাঁদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রায় তিন বিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটির কাছাকাছি মানুষ ইন্টারনেট কখনও ব্যবহার করেননি। শতাংশের হিসাবে দেখতে গেলে গোটা পৃথিবীর যা জনসংখ্যা, তার ৩৭ শতাংশ মানুষের হাতেই ইন্টারনেট নেই, বা তাঁরা তা ব্যবহার করেননি।
আরও শুনুন: কোন মাটি কোন ফসলের জন্য ভালো? জানতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার নবম শ্রেণির ছাত্রীর
রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের এই ঘোষণা রীতিমতো চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। এই দ্রুত-গতির যুগেও যে পৃথিবীর এত সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না, তথ্য হিসাবে তা যথেষ্ট চমকপ্রদই বটে। এদিকে প্যানডেমিক বা গোটা বিশ্ব জুড়ে অতিমারীর কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বরং বেড়েইছে। কোভিড মানুষকে ঘরবন্দি করেছে। পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যে অসুখের ক্ষেত্রে নিরাময়, সেখানে যোগাযোগ কমে আসাই দস্তুর।
আরও শুনুন: কলাপাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কফিন, একইসঙ্গে থাকছে বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থাও
কিন্তু সেভাবে তো আর জীবন চলে না। তাই কাজকর্ম থেকে কেনাকাটা, বলা যায় প্রাত্যহিক জীবনের নানা ক্ষেত্রে এই সমস্যার সমাধান হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেট। একরকমের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা সম্ভব হয়েছে। অফিস-কাঁচারি চলেছে। মানুষের কেনাকাটা ও লেনদেনের ধরনেও এসেছে ব্যাপক বদল। প্রত্যাশিত ভাবেই গোটা পৃথিবীতে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। দেখা যাচ্ছে, করোনাকালে সংকটের প্রথম বছরেই অন্তত দশ শতাংশ বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। গত এক দশকের দিকে ফিরে তাকালে এই বৃদ্ধি যে নজিরবিহীন তা বলাই যায়।
বাকি অংশ শুনে নিন।