গরম ভাতে একটু ঘি। যেন অমৃত। এই সেদিনও খাবার থালায় ভাতের সঙ্গে একোটু ঘি ছিল মাস্ট। কিন্তু সেই দিন বদলে গিয়েছে। ওজন বাড়ার ঠেলায় আর ওজন কমানোর চাপে সাধের ঘি-কে অনেকেই বিদেয় দিয়েছেন পাত থেকে। কিন্তু ঠিক কাজটি করেছেন কি? অমৃতের স্বাদে বঞ্চিত হচ্ছেন শুধু নয়, ওজন কমাতে গিয়ে ওজন কমানোর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রটিকেই দূরে সরিয়ে রাখছেন না তো!
ওজন বাড়া যেন আজকালকার দিনে এক ঘোরতর শত্রু। আর হবে নাই-বা কেন! স্রেফ যে ওজন বাড়ে তা তো নয়। সঙ্গে আনে একশো রকমের অসুখ বিসুখ। আজকের ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিতে এবং ফিট থাকতে ওজন তাই যতটা পারা যায় নিয়ন্ত্রণ করতেই হয়। উপায় নেই যে! আর তাতেই কোপ পড়ে একের পর এক খাবারে। যেমন, ঘিয়ের কথাই ধরা যাক। আমরা সবাই প্রায় জানি, যে ঘিয়ে যথেষ্ট ফ্যাট আছে। এদিকে ফ্যাট শুনলেই যাঁদের কাঁদোকাঁদো মুখ, তাঁরা আর সাহস করে ঘি খাবেন কী করে? ১০০ গ্রাম গিয়ের মধ্যে যে ৯৯.৫ শতাংশই ফ্যাট। অতএব যত শীঘ্র ঘি বাতিল হয়ে যায় খাদ্যতালিকা থেকে।
আরও শুনুন: রাতদিন মোবাইলের দিকে তাকিয়ে চোখের বারোটা বাজছে! যত্ন নেবেন কী করে?
সে নয় হল। কিন্তু যদি বলা হয়, এতে হিতে বিপরীতই আসলে হল, তাহলে? ব্যাপারটা গোলমেলে ঠেকছে তো। আসলে আমরা অনেক সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি প্রচলিত ধারণার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, আমাদের হাতের কাছে লভ্য যে খাবার-দাবার, তাদের এমন কিছু গুণ আছে যা আমাদের শরীরের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। এই খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে বহু বহুদিনের পরীক্ষার ফলে। মানুষ সচেতন ভাবে এই পরীক্ষা করেছে বলেই অঞ্চলভিত্তিতে খাদ্য-সংস্কৃতি বদলে বদলে গিয়েছে। তাই, ওজন বাড়ার জন্য ঘি খাওয়া যদি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে একটু ভুলই হয়ে যাবে।
আরও শুনুন: ঘুমকাতুরে বলে বদনাম! গবেষকরা কিন্তু বলছেন একেবারে অন্য কথা
ঘি-তে ফ্যাট আছে এ কথা যেমন ধ্রুবসত্য, তেমন এ-ও সত্য ঘিয়ের মধ্যে এমন কিছু জিনিস আছে, যা ফ্যাট ঝরিয়েও দিতে পারে। ঘিয়ের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন আছে তেমনই আছে নানারকমের ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া অন্তত দুরকমের ট্রাইগ্লিসারাইড থাকে। এই উপাদান আসলে বিপাকে সাহয্য করে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, ওজন বেড়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়ার পিছনে গোড়ায় গলদ যেটা সেটা হল এই বিপাকের সমস্যা। ঘি সেই জায়গাতেই কাজ করে বলা যায়।
বাকি অংশ শুনে নিন।