ক্রিপ্টোকারেন্সি। নানা প্রাইভেট সংস্থার দৌলতে এই মুহূর্তে জনপ্রিয় ডিজিটাল কারেন্সির লেনদেন। বিশেষত তরুণ প্রজন্ম এই ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন মারফত উপার্জনের রাস্তা খুঁজে নিচ্ছে। তবে তার ঝুঁকিও আছে প্রচুর। আর সেই কারণেই সংসদে এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার।
কিছুদিন আগেও দেশবাসী ক্রিপ্টোকারেন্সি শব্দটির সঙ্গে তেমন করে পরিচিত ছিল না। তবে সময়ের চরিত্র বদলে যাচ্ছে দ্রুত। তাল মিলিয়ে বদলাচ্ছে লেনদেনের রকমসকম। ভারচুয়াল কারেন্সির লেনদেন আন্তর্জাতিক বাজারে অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। পিছিয়ে থাকেনি আমাদের দেশও। ধীরে ধীরে এখানেও শুরু হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন। ক্রমে তা এমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, তরুণদের একটা বড় অংশ ঝুঁকেছে এই লেনদেনের দিকে। ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন করে বড় রকমের উপার্জনের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। আর তাই এবার এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার।
আরও শুনুন: দরজা থাকবে না স্কুলের শৌচাগারে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হতবাক পড়ুয়ারা
২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে নতুন একটি বিল পেশ করা হবে বলেই খবর। কিছুদিন আগেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা শোনা গিয়েছে। ডিজিটাল কারেন্সির গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েও তিনি জানিয়েছেন, যদি সঠিক ভাবে এর ব্যবহার না হয়, তবে তার ফল বিপজ্জনক হতে পারে। ডিজিটাল কারেন্সি যেন ভুল হাতে না পড়ে বা এর অপব্যবহার যেন না হয় – জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ডিজিটাল কারেন্সি লেনদেনকে যে একটা নিয়মের মধ্যে বাঁধবে সরকার, তা প্রত্যাশিতই ছিল।
আরও শুনুন: মাটির নীচে ঘুমিয়ে ৪৫০০ বছরের প্রাচীন সূর্যমন্দির, অবশেষে মিলল খোঁজ
এই মুহূর্তে দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে সেরকম সরকারি কোনও নিয়ন্ত্রণ বা নির্দিষ্ট আইন নেই। নয়া এই বিল সেই লক্ষ্য পূরণ করতে চলেছে। বিলটির নাম তাই দেওয়া ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অফিসিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল, ২০২১’। এই বিল পেশ হলে দেশে প্রাইভেট সংস্থার ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে নেমে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা। নিশ্চিতই সেক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম থাকবে। পাশাপাশি ‘সেবি’ বা এই ধরনের সংস্থার মাধ্যমে সামগ্রিক লেনদেন যাতে সুনিয়ন্ত্রিত হয়, সে পথও খোলা থাকবে।
বাকি অংশ শুনে নিন।