পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক কিছুই ঘটে, বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না। তেমনই এক ঘটনা ঘটে স্কটল্যান্ডের এই ব্রিজটিতে। যার কারণ আজ পর্যন্ত কেউই বুঝে উঠতে পারেননি। কী সেই ঘটনা? শুনে নিন।
আদরের পোষ্যটির মৃত্যু হলে অনেকেই কল্পনা করেন ‘রেনবো ব্রিজ’ বা রামধনু সেতু পেরিয়ে গিয়েছে সে। বলাই বাহুল্য, এমন কোনও সেতু আদতে নেই। কিন্তু বাস্তবে এমন সেতু রয়েছে, যা পেরিয়ে নিজের মৃত্যু ডেকে আনে পোষা প্রাণীরাই। আরও আশ্চর্যের কথা হল, এমন ঘটনার কোনও যথাযথ ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যেসব ঘটনার ব্যাখ্যা মেলে না, তারা অস্বস্তি বাড়ায় বই কমায় না। আর কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডেকে আনে বিপদও। স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটনে অবস্থিত ওভারটুন ব্রিজ তেমনই এক অমীমাংসিত রহস্য।
আরও শুনুন: শহর জুড়ে লকডাউন, রাস্তার দখল নিল বিরাট কাঁকড়া-বাহিনী
ব্রিজটির নিচে কোনও নদী বা জলাশয় নেই, কেবল শুকনো পাথর। মাটি থেকে ব্রিজটি ৫০ ফিট উঁচু। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, এই ব্রিজ থেকে একাধিক কুকুর নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষদের মতে, ১৯৫০ সাল থেকে হিসেব করলে এই মৃত কুকুরদের সংখ্যাটা ৩০০-র কাছাকাছি। অনেকেরই ধারণা, এমন ঘটনার পিছনে আসলে রয়েছে কোনও অলৌকিক কারণ।
আরও শুনুন: কেবল শান্তির দূত নয়, বিশ্বযুদ্ধে গুপ্তচরের কাজও করেছিল পায়রা
আসলে যা হয়ে থাকে, এমন কোনও জায়গার সঙ্গে অনিবার্যভাবে জড়িয়ে যায় অনেক কিংবদন্তি। সেতুটিকে অভিশপ্ত বলেই মনে করেন অনেকে। আসলে এই সেতুটি গড়ে ওঠার সময়েই এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল মৃত্যুর ছায়া। ১৮৯৫ সালে নির্মিত হয়েছিল এই সেতুটি। ওভারটাউন দম্পতি নিজেদের ওভারটাউন প্যালেসের সঙ্গে শহরের মূল রাস্তার সংযোগ করতে চেয়ে এই সেতুটি বানিয়েছিলেন। ১৯০৮ সালে মারা যান মিস্টার ওভারটাউন। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিরিশ বছরেরও বেশি সময় একা একা বেঁচে ছিলেন লেডি ওভারটাউন। এরপর মারা যান তিনিও। বিশ্বযুদ্ধের সময় হাসপাতাল হিসাবেও ব্যবহৃত হয়েছে তাঁদের প্রাসাদটি। সেই সময়েও একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই বাড়িতে। সব মিলিয়ে ওভারটাউন ব্রিজটি অভিশপ্ত এমন গুজব রটতে থাকে।
শুনে নিন বাকি অংশ।