মিশরীয়দের আরাধ্য দেবতার কথা জানেন? ভারতীয় বা গ্রীকদের মতোই মিশর সভ্যতাও ছিল সৌর-উপাসক। এ বার মাটি খুঁড়ে সেখানেই মিলল চার হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া একটি সূর্য মন্দির। মিশরের মাত্র ছ-টি সূর্যমন্দিরের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র দুটির খোঁজ পেয়েছেন নৃতত্ত্ববিদেরা। শুনে নিন সেই আবিষ্কারের গল্প।
এ বার মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে এল সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো একটি হারিয়ে যাওয়া সূর্য মন্দির। নৃতত্ত্ববিদদের মতে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৫ শতকের মাঝামাঝি সময়কার ঐতিহাসিক নিদর্শন এটি। পোলিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের ইজিপ্টোলজির অ্যাসিস্টেন্ট অধ্যাপক ও ওই মিশনের কো-ডিরেক্টর মাসিমিলানো নাজোলো জানিয়েছেন, কায়রো থেকে ১২ মাইল দূরে আবু ঘুরবের কাছে মিলেছে ওই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ।
বহু সভ্যতার মতোই মিশরীয় সভ্যতাও সৌর উপাসক। ‘রে’ বা ‘রা’ নামে সেখানে পূজিত হন সূর্য। জীবন, আলো এবং উষ্ণতার ধারক ও বাহক তিনি। এ-ও মনে করা হয়, এই ‘রে’ বা ‘রা’-ই হলেন মিশরের সমস্ত দেবতার রাজা বা পিতা। অনেকটাই বিশ্বপিতার ব্রহ্মার মতো। ফলত বোঝাই যাচ্ছে মিশরীয় সভ্যতায় সূর্যের ভূমিকা কিন্তু অনেকটাই।
আরও শুনুন: ফেলুদার প্রতি ‘দুর্বলতা’ নেই, জানিয়ে কিশোরী ভক্তের ‘তিরস্কার’ জুটেছিল সৌমিত্রর
১৯৯৮ সালে ন্যুসেরার তৈরি বিখ্যাত সূর্যমন্দিরটি খুঁজে পেয়েছিলেন নৃতত্ত্ববিদেরা। ন্যুসেরা ছিলেন মিশরের পঞ্চম রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা। আনুমানিক ২৪০০ থেকে ২৩৭০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মিশর শাসন করেন তিনি। এ বার অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে নৃতত্ত্ববিদেরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। দেখেন, ন্যুসেরা তাঁর সূর্যমন্দিরটি আদতে তৈরি করেছিলেন অন্য একটি সূর্যমন্দিরের উপরে।
আরও শুনুন: সাহেব-বিবি-গোলাম টানা ঔপনিবেশিকতা নেই, একেবারে স্বতন্ত্র বাংলার দশাবতার তাস
এর আগে উনিশ শতকে ন্যুসেরার মন্দিরটি যাঁরা খুঁজে পান, খুব বেশি মাটির গভীরে অনুসন্ধান চালাননি তাঁরা । ফলে বুঝতে পারেননি যে একটি মন্দিরের উপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্য মন্দিরের কাঠামো। তাঁরা একটিই কাঠামো বলে ভুল করেছিলেন। কিন্তু আদতে ন্যুসেরার তৈরি মন্দিরটির বহু বহু দিন আগেই তৈরি হয়েছিল এই সূর্যমন্দিরটি।
বাকি অংশ শুনে নিন।