শীতকাল মানেই যে শুধু গুটিসুটি কম্বলমুড়ি আর কমলালেবুর কোয়া, তা তো নয়। চিড়িয়াখানা, সার্কাস আর ভিক্টোরিয়ার আড়ালে শীতের রুক্ষ দিন নিয়ে আসে ত্বকের পক্ষে কঠিন সময়। আর একরত্তিদের কথা তো বলাই বাহুল্য। এই শীতের সময়টা ওদের জন্য চাই বিশেষ যত্ন। কী করে আগলে রাখবেন আপনার ছোট্ট সোনার আদুরে ত্বক, আসুন শুনে নিই।
কম্বলমুড়ি আলসে সকাল, ছুটি মাখা রোদ্দুর আর ছাদের পাঁচিলে হেলান দিয়ে কমলালেবুর কোয়া খোলার মত একেকটা দুপুর। সান্টার শ্লেজগাড়ির মতোই এ শহরে নেমে আসে শীতকাল। আর শীতকাল মানেই তো পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া আর বড়দিনের কেক। কিন্তু এর বাইরেও তো রয়েছে শীতের একটা রুক্ষ রূপ। যাকে দেখে বলতেই হয়, ‘একি মায়া, লুকাও কায়া, জীর্ণ শীতের সাজে।’ শীত যে এসেছে, তা সবার আগে জানিয়ে দেয় আমাদের ত্বক। রুক্ষ, শুষ্ক, খড়িফোটা জানিয়ে দেয়, ত্বকের যত্ন নিন। আসলে আমরা যারা গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বাসিন্দা, প্রকৃতিগত ভাবেই আমাদের ত্বক শীতের জন্য ততখানি প্রস্তুত নয়। ফলে শীত পড়তেই আর্দ্রতা হারাতে থাকে ত্বক। শিশু ও সদ্যজাতদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও কয়েক গুণ। কারণ তাদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। ফলে তাদের চাই কয়েকগুণ বেশি যত্নও। কীভাবে আগলে রাখবেন আপনার একরত্তির ত্বক, রইল তারই সুলুক সন্ধান।
আরও শুনুন: শীতের শুষ্ক হাওয়ায় জেল্লা হারাচ্ছে ত্বক, যত্ন নেবেন কীভাবে?
এমনিই ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। বাড়ে ভাইরালের প্রকোপ। আর এই অতিমারি পরিস্থিতিতে অবস্থা আরও কঠিন। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা খুব জরুরি। শীতকাল বলে শিশুদের চান করানো বন্ধ, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন প্রথমেই। সদ্যজাতদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন চান না করালেও দু-তিন দিন অন্তর চান অবশ্যই করান। স্নানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন ঈষদুষ্ণ জল। শিশুদের ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে তেল ও ময়েশ্চারাইজার। তবে যে কোনও তেল বা ময়েশ্চারাইজার নয়, শিশুর ত্বকের উপযোগী তেল-ময়েশ্চারাইজারই ব্যবহার করুন। কারণ শিশুর ত্বক অনেক বেশি পাতলা ও সংবেদনশীল।
আরও শুনুন: শীতের হাওয়ায় চুল পড়ার সমস্যা শুরু… ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নেবেন কীভাবে?
নিয়মিত শিশুর তেল মালিশ করুন। এতে শিশুদের হাড় মজবুত হয়। বাড়ে রক্তচলাচল। এবং সূর্যের আলোয় শরীরের ভিটামিন ডি-ও তৈরি হতে পারে। জানেন কি, প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরির দ্বিতীয় কোনও সহজ পথ নেই সূর্যের আলো ছাড়া। তবে ডাই ও প্যারাবেন্স মুক্ত শিশু উপযোগী তেলই যাতে ব্যবহার হয়, সে বিষয়টি কিন্তু মাথায় রাখবেন। রোজ দিনে দু বার অন্তত ময়েশ্চারাইজার লাগানো দরকার। তবে যে কোনও জিনিসই ব্যবহারের আগে অ্যালার্জি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে নিন। বড়দের বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান শিশুদের ত্বকে ব্যবহার করা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। সেক্ষেত্রেও আর্দ্রতা হারাতে পারে ত্বক । স্নানের পর রগড়ে গা মোছানোর পরিবর্তে তোয়ালে জাতিয় কাপড়ে হাল্কা থুপে থুপে মুছে নিন অতিরিক্ত জল। তাতে ত্বক লাল হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
বাকি অংশ শুনে নিন।