স্মল পক্সের জীবাণু হয়ে উঠতে পারে জঙ্গিদের হাতিয়ার। যদি সত্যিই এরকমটা হয়, তবে কীভাবে তার মোকাবিলা করবে বিশ্ব? সম্প্রতি এমন প্রশ্নই তুলে দিলেন স্বয়ং বিল গেটস। কেন? আসুন শুনে নিই।
করোনা মহামারীর ভয়াবহতার সাক্ষী এখন গোটা বিশ্ব। মহামারী আগেও এসেছে। মানুষ নিজের মতো করে তার মোকাবিলা করেছে। তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন ও অন্যান্য ওষুধপত্র। ভবিষ্যতেও যে মহামারী আসবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই দরকার আগাম সতর্কতা। যেমন তেমন সতর্কতা নয়, অর্থ বরাদ্দ করে গবেষণার মাধ্যমে আগাম পদক্ষেপ করতে হবে, মানব সভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য। সম্প্রতি এই কথাটিই আবার মনে করিয়ে দিলেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
আরও শুনুন: রোগ হবার আগেই সারাও… মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসেছিল কোন ভ্যাকসিন?
এই বিষয়ে বলতে গিয়েই তিনি টেনে আনেন বায়ো-টেররের প্রসঙ্গ। অর্থাৎ, যেখানে জঙ্গিরা হাতিয়ার করতে পারে জীবাণুকে। অত্যাধুনিক অস্ত্রশত্র নয়, জীবাণু-সন্ত্রাসেই যথেষ্ট বিপাকে পড়তে পারে পৃথিবী। তার সম্ভাবনা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিল বলেন, যদি কোনও এয়ারপোর্টে জঙ্গিরা স্মল পক্সের জীবাণু নিয়ে হানা দেয়, তখন কী হবে? আসলে প্রশ্ন নয়, বিল খুঁজতে চাইছিলেন এর সুনির্দিষ্ট উত্তর। আগামীতে এরকম কোনও সম্ভাবনা তো নস্যাৎ করে দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ঘটনা ঘটে যাবার পর তার মোকাবিলা করা ক্রমশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। বহু প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যায়। বিল তাই চাইছেন, এর জন্য আরও আগে থেকে প্রস্তুতি দরকার। গবেষণার জন্য বড় বড় দেশগুলি যদি বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করে, তবে এই ধরনের সন্ত্রাস মোকাবিলা করা সম্ভব। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো সংগঠন যদি মহামারী মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করতে পারে, তবে আখেরে তাতে লাভ হবে মানবসভ্যতারই। যদিও তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এই ধরনের কাজ অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ।
আরও শুনুন: শুধু আদিম মানুষ নয়, এখনও কাঁচা মাংস খান অনেকেই… তাঁরা কারা?
বিল যা বলছেন, এই কথা বহুবারই নানা ভাবে বলার চেষ্টা করেছেন বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। করোনার প্রকোপও হয়তো দ্রুত কমানো যেতে পারত, যদি এ নিয়ে আগেভাগেই গবেষণার কাজ শুরু করা যেত। পর্যাপ্ত গবেষণার জন্য পরিকাঠামো ঠাকলে আগামীদিনেও এই ধরনের যে কোনও অসুখের সঙ্গে মোকাবিলা অনেক সহজ হয়ে যায়।
শুনে নিন বাকি অংশ।