ফের সরব জাভেদ আখতার। এবার তাঁর নিশানায় মুসলিম সংগঠনগুলি। একের পর এক ফতোয়ায় অতিষ্ঠ আফগানিস্তান। কর্মরতা মহিলাদের ঘরবন্দি হয়ে থাকার নিদান তালিবান নেতাদের। সেই প্রেক্ষিতেই মুসলিম সংগঠনগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জাভেদ আখতার।
আফগানিস্তানের তালিবান দখলের পর মুসলিমদের একাংশের উল্লাস প্রকাশ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন খ্যাতনামা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। জানিয়েছিলেন, সেই উল্লাস ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত বহন করছে। এবার প্রায় একই সুরে কথা বললেন গীতিকার, চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। তালিবানি ফতোয়ায় যখন আফগানভূমে কর্মরতারা ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন, তখন কেন চুপ করে আছে মুসলিম সংগঠনগুলি? প্রশ্ন তুললেন জাভেদ সাহাব।
আরও শুনুন: এমনও হয়! মরণের ওপারে ৪৫ মিনিট, আচমকাই জীবনে ফিরলেন মহিলা…
প্রগতিশীলতার মুখোশ খসে পড়েছে। এতদিনে স্পষ্টই বোঝা গেছে, তালিবানরা একবিন্দুও বদলায়নি। মহিলাদের প্রতি তাদের সামগ্রিক মনোভাবে কোনও পরিবর্তন আসেনি। আর তাই তালিবানি জমানায় সবথেকে বিপদের মুখে পড়েছেন সে দেশের মহিলারা। একের পর এক ফতোয়ায় বিসর্জন হতে চলেছে সমস্ত অধিকার ও অর্জনের। দেখা যাচ্ছে, সে দেশে স্কুল খুলেছে, মেয়েদের বাদ দিয়েই। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ক্লাস করতে গেলেও রীতিমতো মোটা ভারী পর্দা দিয়ে আড়াল করে রাখা হয়েছে তাঁদের। আর যাঁরা অফিস কাছারিতে কাজ করতেন, তাঁরা একেবারেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। তালিবানি নিদানে তাঁদের কাজের অধিকার গিয়েছে।
আরও শুনুন: সারা গ্রামে সকলেই অন্ধ, এমনকী পশুরাও… জানেন এই ‘অভিশপ্ত’ গ্রামের কথা?
এই প্রেক্ষিতেই সরব হয়েছেন জাভেদ আখতার। টুইট করে তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তের নিন্দায় একজোট হওয়া উচিত সমস্ত মুসলিম সংগঠনগুলির। কেননা, তালিবানরা এই কাজ করছে ধর্মের নামে। যে দায় প্রকারন্তরে গিয়ে পড়ছে সেই ধর্মাবলম্বী সমস্ত মানুষদের উপরই। একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, এই সেদিনও যাঁরা তিন তালাকের সমর্থনে সরব হয়েছিলেন, তাঁরা এখন কোথায় গেলেন? ধর্মের নামে যে তাণ্ডব চালাচ্ছেন তালিবানরা, সে কথাই আসলে বলতে চাইছেন জাভেদ আখতার। কেননা, ইসলামকে সামনে রেখে যেহেতু এই গোঁড়ামি ও সংকীর্ণ কাজগুলি করে চলেছে তারা, তার প্রভাব এসে পড়বে বিশ্বে বসবাসকারী সমস্ত মুসলিমদের উপরই।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।